ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) পিছিয়ে গেল চাকরি বাতিল (SSC Recruitment Case) মামলার শুনানি। মঙ্গলবার দিনের শুরুতেই এই মামলা শুনানির জন্য ওঠে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে। কিন্তু তা মুলতুবি হয়ে যায়। যার জেরে আজও ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল। পরবর্তী শুনানি আগামী সপ্তাহে।
ফের পিছলো চাকরি বাতিল মামলার শুনানি (SSC Recruitment Case)
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও সঞ্জয় কুমারের ডিভিশন বেঞ্চ ছিল ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি(SSC Recruitment Case)। মঙ্গলবার সওয়াল করার কথা ছিল সিবিআইয়ের। সেই মতো এক আইনজীবী জানান, সিবিআই যোগ্য-অযোগ্যদের বাছাই করে রিপোর্ট দিক। শুনানি না-হলেও আদালতের আগের নির্দেশ মোতাবেক মঙ্গলবার এই মামলায় রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে। তবে আজ হল না শুনানি। সব পক্ষকে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত।
গত শুনানিতে প্রশ্নের মুখে রাজ্য (SSC Recruitment Case)
একাধিক বার পিছিয়ে যাওয়ার পর গত ১৯ ডিসেম্বর চাকরি বাতিল মামলার শুনানি (SSC Recruitment Case) হয়েছিল সুপ্রিম কোর্টে। গত শুনানিতে শীর্ষ আদালতের একাধিক প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য, এসএসসি (SSC)। সে দিন শীর্ষ আদালত মূলত যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করার উপরে জোর দিয়েছিল। সম্ভাব্য কোন উপায়ে তা করা যায়, সেই ইঙ্গিতও দিয়ে রাখা হয়। যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে বলে জানিয়ে দেয় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। প্রধান বিচারপতি বলেন, “যোগ্য-অযোগ্য বাছাই করা না-গেলে পুরো প্যানেল বাতিল করতে হবে।”
প্যানেল বাতিলের নির্দেশ দেয় হাইকোর্টের
গত ২২ এপ্রিল স্কুল সার্ভিস কমিশনের নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রায় ঘোষণা করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। হাই কোর্টের বিচারপতি দেবাংশু বসাক এবং বিচারপতি মহম্মদ শব্বর রশিদির ডিভিশন বেঞ্চ ২০১৬ সালের নিয়োগ প্রক্রিয়া বাতিল ঘোষণা করে। তার ফলে চাকরি যায় প্রায় ২৬ হাজার জনের। যাঁরা মেয়াদ-উত্তীর্ণ প্যানেলে চাকরি পেয়েছিলেন, যাঁরা সাদা খাতা জমা দিয়ে চাকরি পেয়েছিলেন, তাঁদের বেতন ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। চার সপ্তাহের মধ্যে ১২ শতাংশ হারে সুদ-সহ বেতন ফেরত দিতে বলা হয় ওই চাকরিপ্রাপকদের।
আরও পড়ুন : Sukanta Majumdar :বিনা সুদে মিলবে ঋণ! সুকান্তর ছবি দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টার
হাইকোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ
হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছিল রাজ্য সরকার। পৃথক ভাবে মামলা করে রাজ্যের শিক্ষা দফতর, এসএসসি এবং মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। তার পর সুপ্রিম কোর্টে চাকরিহারাদের কয়েক জনও দফায় দফায় মামলা করেন হাই কোর্টের নির্দেশে । গত ৭ মে সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ চাকরি বাতিল মামলায় অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয়। এ ক্ষেত্রে তৎকালীন প্রধান বিচারপতির যুক্তি ছিল, যদি যোগ্য এবং অযোগ্য আলাদা করা সম্ভব হয়, তা হলে গোটা প্যানেল বাতিল করা ন্যায্য হবে না।
আরও পড়ুন : Sujaykrishna Bhadra: নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডির মামলায় ‘কাকু’র বিরুদ্ধে চার্জ গঠন
আগামী ১৫ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানি
মঙ্গলবার ছিল ওই মামলার শুনানি, যা এদিনও হলো না। পরবর্তী শুনানি হবে আগামী ১৫ জানুয়ারি। পরবর্তী শুনানির মধ্যে হলফনামা জমা দিতে হবে সব পক্ষকে বলে জানায় শীর্ষ আদালত। আগামী ১৫ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় হবে ২৬ হাজার চাকরি বাতিল মামলার শুনানি।