ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির জেরে (SSC Recruitment Case) চাকরি হারানো হাজার হাজার যোগ্য প্রার্থী এখন পথে। শুক্রবার তাঁদের ডাকা মিছিল ও বিকাশ ভবনে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের মাধ্যমে ফের চাপে স্কুল সার্ভিস কমিশন ও রাজ্য সরকার।
ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক (SSC Recruitment Case)
সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে শুরু হয়ে এসএসসি ভবনের সামনে গিয়ে শেষ হয়েছে তাঁদের (SSC Recruitment Case) পদযাত্রা। আন্দোলনের সামনের সারিতে থাকা চিন্ময় মণ্ডল জানান, তাঁদের আন্দোলনের মূল ভিত্তি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দাবি— (১) যোগ্য ও অযোগ্য প্রার্থীদের পৃথক তালিকা প্রকাশ করতে হবে, (২) ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ প্রকাশ্যে আনতে হবে, এবং (৩) নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার যে পরিকল্পনা হয়েছে, তা অবিলম্বে বাতিল করতে হবে। তাঁর কথায়, “আমরা নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যেতে চাই না। আমরা চাই আমাদের ন্যায্য অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হোক।”
বিকাশ ভবনে বৈঠকে চাকরিহারা প্রতিনিধিরা (SSC Recruitment Case)
এই দাবিগুলি নিয়েই শুক্রবার দুপুরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর সঙ্গে বিকাশ ভবনে বৈঠকে বসেছেন চাকরিহারা (SSC Recruitment Case) প্রতিনিধিরা। আট জনের একটি প্রতিনিধি দল এই বৈঠকে অংশ নিচ্ছেন। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন এসএসসি-র চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার ও কমিশনের অন্যান্য কর্তারা।

‘আমরণ অনশন’-এর বিরোধিতা
এদিকে, সল্টলেকের এসএসসি দফতরের সামনে বৃহস্পতিবার থেকে অনশনে বসেছেন তিন জন চাকরিহারা শিক্ষক— সুমন বিশ্বাস, পঙ্কজ রায় এবং প্রতাপ রানা। ঝড়বৃষ্টির মধ্যেও তাঁরা তাঁদের অবস্থান ত্যাগ করেননি। বৃহস্পতিবার রাতে সেখানে গিয়ে দেখা করেন কলকাতা হাই কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি ও বিজেপি সাংসদ অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। তিনি আন্দোলনকারীদের পাশে থাকার বার্তা দিলেও ‘আমরণ অনশন’-এর বিরোধিতা করেন।
অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসার পরিকল্পনা
শুক্রবার সকালে অনশনকারীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হয়েছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, যতক্ষণ না দাবি পূরণ হচ্ছে, ততক্ষণ তাঁরা পিছু হঠবেন না। বৈঠক ফলপ্রসূ না হলে আন্দোলনের রূপ আরও উগ্র হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন অনেকেই। কেউ কেউ সরাসরি এসএসসি ভবনের সামনে অনির্দিষ্টকালের জন্য অবস্থানে বসার পরিকল্পনাও করছেন।
আরও পড়ুন: US Tariff War: শুল্কযুদ্ধ ঘিরে চীনের প্রস্তাবে অস্ট্রেলিয়ার স্পষ্ট ‘না’!
পুলিশের কড়া নজরদারি
শুক্রবারের কর্মসূচির ফলে শহরের একাধিক অংশে যানজটের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। দিনের শুরু থেকে করুণাময়ী থেকে হাডসন রোড পর্যন্ত এলাকায় পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।