ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চাকরি বাতিল হওয়া প্রার্থীদের আন্দোলন নতুন মোড় (SSC Recruitment Case) নিয়েছে শুক্রবার। রাজ্য সরকারের তরফে বৈঠকের ডাক দেওয়া হলেও, প্রতিনিধি সংখ্যা নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে বিতর্ক। চাকরিহারাদের তরফে বৈঠকে অংশ নিতে ১২ জনের নাম পাঠানো হলেও, সরকার প্রথমে মাত্র আট জনের প্রবেশের অনুমতি দেয়। এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন চাকরিহারারা।
পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা (SSC Recruitment Case)
তাঁদের স্পষ্ট বক্তব্য— ১২ জনকেই ঢুকতে দিতে হবে, নইলে বৈঠকে অংশগ্রহণ (SSC Recruitment Case) করা হবে না। এর জেরে বৈঠক শুরুর আগেই উত্তেজনার পারদ চড়ে যায় বিকাশ ভবনের সামনে। শেষ পর্যন্ত কিছুটা নমনীয় হয় প্রশাসন, এবং ১০ জন প্রতিনিধি ভিতরে ঢোকার অনুমতি পান। তবে তাতেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন আন্দোলনকারীরা।
প্রতিনিধি তালিকায় কারা? (SSC Recruitment Case)
প্রতিনিধি তালিকায় যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মধ্যে নবম-দশম শ্রেণির ছয় জন, একাদশ-দ্বাদশ (SSC Recruitment Case) শ্রেণির চার জন, এবং গ্রুপ-সি ও গ্রুপ-ডি-র এক জন করে প্রার্থী আছেন। হুমায়ুন ফিরোজ মণ্ডল, সঙ্গীতা সাহা, আবদুল্লা মণ্ডল, চিন্ময় মণ্ডল, সুজয় সরদার, প্রলয় কুমার জামাদার, আজহারউদ্দীন, সেলিনা আখতার, স্বপন বিশ্বাস, মেহবুব মণ্ডল, দিথিশ মণ্ডল, মৃণ্ময় মণ্ডল ও তাপস সাঁতরা তাঁদের মধ্যে অন্যতম।
বিকাশ ভবনের সামনেই অবস্থান
একদিকে বৈঠক প্রস্তুতি চলছে বিকাশ ভবনের ভিতরে, অন্যদিকে বাইরের পরিস্থিতিও থমথমে। একাংশ চাকরিহারা বিকাশ ভবনের সামনেই অবস্থানে বসে পড়েছেন। অন্যদিকে, এসএসসি দফতরের সামনে এখনও অনশনে রয়েছেন তিন জন শিক্ষক।

দাবি শক্ত করার প্রয়াস
প্রতিবাদের ভাষা বদলেছে, কিন্তু তীব্রতা কমেনি। চাকরিহারারা ওএমআর শিটের কপি ও নিয়োগ সংক্রান্ত যাবতীয় নথিপত্র সঙ্গে এনেছেন, যা তাঁদের দাবি শক্ত করার প্রয়াস।
দাবি মানল বিকাশ ভবন
চাকরিহারাদের দাবি মেনে ১২ জনকেই ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দিল বিকাশ ভবন।
কড়া নজরদারি
এমনকি আন্দোলনের মধ্যে কোনো বিশৃঙ্খলা না ঘটে, সে বিষয়েও কড়া নজরদারি রাখা হচ্ছে। আন্দোলন মঞ্চ থেকে ঘোষণা করা হচ্ছে, “বাইরের কেউ গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে, সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে চিহ্নিত করুন।” কসবা কাণ্ডের পুনরাবৃত্তি যাতে না হয়, সেই চেষ্টায় সচেষ্ট আন্দোলনকারীরা।
এই মুহূর্তে রাজ্যের শিক্ষা মহলে একটাই প্রশ্ন ঘুরপাক খাচ্ছে— কতটা ফলপ্রসূ হবে এই বৈঠক? আর সরকার ও চাকরিহারাদের টানাপোড়েনের মধ্যে শেষ পর্যন্ত কবে মিলবে স্থায়ী সমাধান, সেদিকেই তাকিয়ে গোটা রাজ্য।