ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC Scam) নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট সম্প্রতি রাজ্যের প্রায় ২৫,৭৩৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার চাকরি বাতিল করেছে। আদালতের রায়ে স্পষ্ট বলা হয়েছে, পুরো প্যানেল দুর্নীতিগ্রস্ত—নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হয়েছে ব্যাপক কারচুপি। এর জেরে হাজার হাজার প্রার্থী যেমন চাকরি হারিয়েছেন, তেমনই তাঁদের ভবিষ্যৎ এখন চূড়ান্ত অনিশ্চয়তার মুখে।
‘ওয়াই চ্যানেল’-এ অবস্থান বিক্ষোভ (SSC Scam)
চাকরি হারানো প্রার্থীদের একটি বড় অংশ ইতিমধ্যেই কলকাতার ধর্মতলায় ‘ওয়াই চ্যানেল’-এ অবস্থান (SSC Scam) বিক্ষোভ শুরু করেছেন। শুধুমাত্র প্রতিবাদ নয়, তাঁরা আইনি পথে নিজেদের চাকরি ফিরে পাওয়ার পথ খুঁজে নিতে চান। সেই উদ্দেশ্যেই সোমবার, অম্বেডকর জয়ন্তীর দিন বিকেলে তাঁরা আহ্বান জানিয়েছেন আইনজীবী এবং প্রাক্তন বিচারপতিদের। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, তাঁরা সরাসরি আইনগত পরামর্শ নিতে চান আন্দোলনস্থলে বসেই।
অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি (SSC Scam)
ওই জায়গায় একটি “পরামর্শ বাক্স” বসানো হয়েছে, যেখানে (SSC Scam) উপস্থিত মানুষজন লিখিতভাবে তাঁদের মতামত জমা দিতে পারেন। সমস্ত পরামর্শ খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ ঠিক করবেন আন্দোলনকারীরা। অন্যদিকে, সল্টলেকের এসএসসি ভবনের সামনে অনশন ও অবস্থান কর্মসূচি চালাচ্ছেন আরেক দল চাকরিপ্রার্থী। তাঁদের মধ্যে তিনজন অনশনে বসেছিলেন, যার মধ্যে একজন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন, পরে বাকি দুইজন অনশন তুলে নেন। তবে আন্দোলনের গতি থামছে না। তাঁরা জানাচ্ছেন, সিবিআইকে ই-মেল করে পরীক্ষার ওএমআর শিট সংক্রান্ত বিশদ তথ্য চেয়ে আবেদন করবেন। কারণ, অভিযোগ রয়েছে—অনেক প্রার্থী খালি ওএমআর শিট জমা দিয়েও চাকরি পেয়েছেন।
দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সংগঠন ‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মী ২০১৬ ঐক্যমঞ্চ’-এর পক্ষ থেকে একাধিক কর্মসূচির পরিকল্পনা করা হয়েছে। মঙ্গলবার, বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ধর্মতলায় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি নিয়ে আলোচনাসভার আয়োজন হয়েছে। বুধবার দিল্লির যন্তরমন্তরে ধর্নায় বসবেন আন্দোলনকারীদের একাংশ। সোমবার রাতেই তাঁরা বাসে রওনা দিয়েছেন ধর্মতলা থেকে।
কালো ব্যাজ পরে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত
এছাড়া, বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ পরে স্কুলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অনেক চাকরিহারারা। ২২ এপ্রিল রাজভবন অভিযানের ডাক দেওয়া হয়েছে—শিয়ালদহ থেকে মিছিল যাবে ধর্মতলা হয়ে। এরপর রাজ্যপালের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাওয়া হবে।আগামী ১ থেকে ৭ মে পর্যন্ত চলবে রিলে অনশন, আর ৭ তারিখের পর আমরণ অনশনে বসার পরিকল্পনা রয়েছে আন্দোলনকারীদের একাংশের। এই মুহূর্তে তাঁদের চোখ আদালতের দিকেও, আবার জনগণের সহানুভূতির দিকেও। প্রশ্ন একটাই—চাকরি ফিরবে তো?