ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে চাকরি হারানো (SSC Scam) হাজার হাজার প্রার্থী এবার তাঁদের লড়াইকে পৌঁছে দিচ্ছেন জাতীয় স্তরে। সোমবার দুপুর ১২টা নাগাদ ধর্মতলার ‘ওয়াই চ্যানেল’ থেকে একদল চাকরিহারা রওনা দিলেন দিল্লির যন্তরমন্তরের পথে। যাত্রাপথে বিভিন্ন রাজ্যে লিফলেট বিলি করে নিজেদের দাবি তুলে ধরার পরিকল্পনাও রয়েছে তাঁদের।
যন্তরমন্তরে প্রতিবাদ কর্মসূচি (SSC Scam)
বুধবার যন্তরমন্তরে হবে প্রতিবাদ (SSC Scam) কর্মসূচি। পাশাপাশি, রাজ্যে চলবে একের পর এক প্রতিবাদ কর্মসূচি। ২২ এপ্রিল শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা হয়ে রাজভবন পর্যন্ত মিছিলের ডাক দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। ২৩ ও ২৮ এপ্রিল ফের পথে নামবেন তাঁরা। মে মাসের শুরুতেই আরও বড় পদক্ষেপ—১ থেকে ৭ মে পর্যন্ত ওয়াই চ্যানেলে চলবে রিলে অনশন। তারপরেও সমাধান না হলে, ৭ মে-র পর থেকে আমরণ অনশন শুরু করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীদের একাংশ।
ন্যায্য দাবি আদায়ের চেষ্টা (SSC Scam)
চাকরি হারিয়ে আন্দোলনের পথেই নিজেদের ন্যায্য দাবি আদায়ের চেষ্টা চালিয়ে (SSC Scam) যাচ্ছেন এই প্রার্থীরা। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে নেতাজি ইন্ডোরে আলোচনার পর, বিষয়টি ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোর আরও তীব্র হয়েছে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী সরাসরি অভিযোগ তুলেছেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর ভাইপো চাকরি বিক্রি করেছেন পার্থ ও সুজয়কৃষ্ণের মাধ্যমে। সেই দুর্নীতি ঢাকতেই ১৯ হাজার যোগ্য প্রার্থীকে বলি দেওয়া হয়েছে।”
শুভেন্দু অধিকারীর সরাসরি অভিযোগ
তিনি আরও প্রশ্ন তুলেছেন, “সরকার ৭ হাজার যোগ্য বলে কার্ড দিল, অথচ কী ভিত্তিতে? তাহলে কি বাকি ১৯ হাজার অযোগ্য? মুখ্যমন্ত্রী জানলেন কীভাবে কারা যোগ্য? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় যেখানে ৬ হাজারকে অযোগ্য বলেছেন, সেখানে অতিরিক্ত ১ হাজার ‘যোগ্য’ কারা হলেন? বাকিরা কীভাবে অযোগ্য হয়ে গেলেন?” শুভেন্দু আরও দাবি করেছেন, নবান্ন অভিযানে থাকবেন তিনি নিজেও—“আমি ১ লক্ষ লোক নিয়ে যাবো, পতাকা ছাড়া যাব।”
ওএমআর শিট গায়েব!
এই আন্দোলনে গলা মিলিয়েছেন বিজেপি নেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল-ও। তাঁর অভিযোগ, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজও যোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করতে পারেননি। ওএমআর শিট গায়েব করেছেন, সেটা প্রকাশ করলেই স্পষ্ট হবে কারা চাকরি পেয়েছেন কারচুপি করে। মুখ্যমন্ত্রীর উচিত গ্রেফতার হওয়া। আপনি চাকরি কেড়ে নিয়েছেন যোগ্যদের, লজ্জা করে না?”
চাকরির দাবিতে সীমাবদ্ধ
এই প্রতিবাদ এখন আর শুধু চাকরির দাবিতে সীমাবদ্ধ নয়—এটা হয়ে উঠেছে রাজ্যের শিক্ষাক্ষেত্রে ন্যায়বিচারের প্রতীক। জাতীয় মঞ্চে পৌঁছে এই আন্দোলন নতুন রূপ নেবে কি না, তা সময় বলবে। তবে আপাতত, শিক্ষক-শিক্ষিকাদের লড়াই আরও দৃঢ় ও দীর্ঘ মেয়াদি হওয়ার পথে।