Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: দীর্ঘ ৩০ ঘণ্টার যাত্রাপথ অতিক্রম করে শেষমেশ (SSC Scam) দিল্লি পৌঁছলেন পশ্চিমবঙ্গের চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। বুধবার দুপুর ২টো নাগাদ দিল্লির যন্তরমন্তরে তাঁরা শুরু করেন অবস্থান বিক্ষোভ। তাঁদের হাতে পোস্টার, প্ল্যাকার্ড—সবার কেন্দ্রবিন্দুতে একটাই বার্তা, “আমরা যোগ্য, তবুও চাকরি গেল!”
হতাশার মধ্যেও ফের লড়াই (SSC Scam)
এই প্রতিবাদে অংশ নিয়েছেন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা ঐক্য মঞ্চ’-এর প্রায় ৭০ (SSC Scam) জন সদস্য। সুপ্রিম কোর্টের রায় অনুযায়ী যাঁদের নিয়োগ বাতিল হয়েছে, তাঁরা চূড়ান্ত হতাশার মধ্যেও ফের লড়াইয়ে পথে নামলেন। আহ্বায়ক চিন্ময় মণ্ডলের কথায়, “দুর্নীতিপ্রবণ এবং দুর্নীতিমুক্ত নিয়োগপ্রাপ্তদের এক করে দেওয়া হচ্ছে—এটা চরম অবিচার। আমরা আর নীরব থাকতে পারছি না।”
অনেকেই এখনো আশাবাদী (SSC Scam)
চাকরিহারাদের দাবি, তাঁরা আদালতের রায় মেনে নিয়েছেন, তবে যে পদ্ধতিতে তাঁদের নিয়োগ (SSC Scam) বাতিল করা হয়েছে, তা প্রশ্নের মুখে। অনেকেই এখনো আশাবাদী রিভিউ পিটিশনের মাধ্যমে ফেরত পাওয়া যাবে চাকরি। কিন্তু আইনি লড়াইয়ের পাশাপাশি তাঁরা দেশবাসীর কাছে পৌঁছতে চাইছেন তাঁদের বঞ্চনার কথা নিয়ে। তাই কলকাতা থেকে দেশের রাজধানীতে পাড়ি।
যন্তরমন্তরে অবস্থান
বাসে করে সোমবার দুপুরে ধর্মতলা থেকে যাত্রা শুরু করে এই দল। মঙ্গলবার প্রয়াগরাজ হয়ে বুধবার ভোর ৪টে নাগাদ পৌঁছন দিল্লি। পথে যেখানেই বাস দাঁড়িয়েছে, সেখানেই তাঁরা পথচারীদের হাতে তুলে দিয়েছেন হিন্দিতে লেখা লিফলেট—বলেছেন নিজেদের যন্ত্রণার কথা, চেয়েছেন সমর্থন। যাত্রাপথে মানুষের সঙ্গ পেয়ে নতুন উদ্যমে বুধবার তাঁরা যন্তরমন্তরে অবস্থানে বসেন।
মানবিক দিকটা বিবেচনা করুন
সকালেই দিল্লির এক আশ্রমে মাথাপিছু ৩৫০ টাকা দিয়ে কয়েক ঘণ্টার বিশ্রাম, তারপর অবস্থান। বিকেল ৫টা পর্যন্ত চলেছে এই প্রতিবাদ। তাঁদের বক্তব্য, “আমরা দেশের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও সাংসদদের কাছে আবেদন জানাই—রাজনৈতিক রঙ ভুলে মানবিক দিকটা বিবেচনা করুন।”
সুপ্রিম কোর্টে শুনানি
চাকরি হারানো ২৫,৭৩৫ জনের মধ্যে বহুজন এখনও ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে অবস্থান করছেন। দিল্লিতে বিক্ষোভ শেষ করে বাকি আন্দোলনকারীরা বুধবার গভীর রাতে কলকাতার পথে ফিরবেন। তবে ২-৩ জন থেকে যাবেন দিল্লিতে, কারণ বৃহস্পতিবার রয়েছে সুপ্রিম কোর্টে মধ্যশিক্ষা পর্ষদের ক্লারিফিকেশন পিটিশনের শুনানি। সেখানেই নির্ধারিত হবে, বেতন সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর।
আরও পড়ুন: Supreme Court: ”ভাষা ধর্ম নয়”—উর্দু নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের কড়া বার্তা!
দিল্লির বুকে বাংলার এই চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের প্রতিবাদ শুধু একটি রাজ্যের সমস্যার প্রতিফলন নয়—বরং তা গোটা দেশের নিয়োগ পদ্ধতির স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের প্রশ্নে এক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা।