ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগ (SSC Scam) প্রক্রিয়া সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের সাম্প্রতিক নির্দেশে সাময়িক স্বস্তি পেলেন কিছু চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকারা। তবে আন্দোলনরতদের একাংশ এই রায়কে পূর্ণ স্বস্তি হিসেবে দেখছেন না। তাঁদের দাবি, অস্থায়ী বা নির্দিষ্ট সময়সীমার চাকরি নয়, তাঁরা স্থায়ীভাবে সম্মানের সঙ্গে অবসর পর্যন্ত কাজ করতে চান। তাই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশকে তাঁরা “কৌশলগত জয়” বললেও স্থায়ী সমাধানের লক্ষ্যে আন্দোলন জারি রাখার কথাও জানাচ্ছেন।
নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরুর নির্দেশ (SSC Scam)
শীর্ষ আদালতের রায়ে বলা হয়েছে, যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও দুর্নীতির (SSC Scam) প্রমাণ নেই বা যাঁরা ‘দাগি’ নন, তাঁরা আপাতত স্কুলে যেতে পারবেন। তবে ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্য সরকার ও এসএসসিকে নতুন নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে এবং ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে তা শেষ করতেই হবে। আদালত স্পষ্ট জানিয়েছে, এই সময়সীমা না মানলে আগের নির্দেশ প্রত্যাহার করা হবে এবং আদালত নিজেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
রিভিউ পিটিশনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ (SSC Scam)
‘যোগ্য শিক্ষক শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’-এর আহ্বায়ক চিন্ময় মণ্ডল রায় প্রকাশের সময় আদালত চত্বরে (SSC Scam) উপস্থিত ছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, এই নির্দেশ শিক্ষক-শিক্ষিকাদের স্বস্তি দিলেও, এটা স্থায়ী সমাধান নয়। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, “আমরা শুধু ছ’মাসের চাকরি চাই না, আমরা চাই সম্মানের সঙ্গে অবসর পর্যন্ত কাজের সুযোগ। আমরা রিভিউ পিটিশনের জন্য আদালতের দ্বারস্থ হব।”
চাকরি পুরোপুরি ফেরানো হোক
আন্দোলনকারী শিক্ষক আবদুল্লা আল মঞ্জুম জানান, আদালতের এই রায় আন্দোলনের পথ থেকে তাঁদের সরিয়ে দিচ্ছে না। বরং তাঁদের দাবি, নতুন করে কোনও পরীক্ষা নয়— পুরনো নিযুক্ত শিক্ষক-শিক্ষিকাদের চাকরি পুরোপুরি ফেরানো হোক।
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত
তবে সুপ্রিম কোর্টের এই সাময়িক স্বস্তি শুধু শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্যই প্রযোজ্য। গ্রুপ সি ও ডি পদে থাকা শিক্ষাকর্মীদের ক্ষেত্রে এখনও স্থায়ী কোনও সমাধান মেলেনি। ফলে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। পলাশ মণ্ডল ও সুশান্ত শিকদারের মতো শিক্ষাকর্মীরা বলছেন, তাঁরা যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও বঞ্চিত। তাঁদের দাবি, শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীদের সমান মর্যাদা দেওয়া হোক।
এদিকে ধর্মতলার ওয়াই চ্যানেলে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন চাকরিহারা অনেকেই। কেউ কেউ শুক্রবার থেকে কাজে যোগ দিতেও আপত্তি জানিয়েছেন। তাঁদের মূল দাবি— সম্মানের সঙ্গে স্থায়ীভাবে কাজের সুযোগ ও ন্যায়বিচার। সব মিলিয়ে বলা যায়, সুপ্রিম কোর্টের রায় কিছুটা স্বস্তি দিলেও আন্দোলন থেমে নেই। স্থায়ী সমাধান না পাওয়া পর্যন্ত আন্দোলন জারি রাখার মনোভাব স্পষ্ট আন্দোলনরতদের কণ্ঠে।