ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ক্যানিংয়ের এক শিক্ষিকা চাকরি হারানো (SSC Verdict Case) ও ঋণের চাপে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছিলেন। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে পশ্চিমবঙ্গের ২৬,০০০ শিক্ষকের চাকরি বাতিলের পর থেকে তিনি মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। শেষ পর্যন্ত আত্মঘাতী হবার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরও বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছেন তিনি। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
একের পর এক সংকট (SSC Verdict Case)
শিক্ষিকার নাম রুম্পা সিং, মেদিনীপুরের (SSC Verdict Case) বাসিন্দা। তিনি ক্যানিংয়ের রায়বাঘিনি হাই স্কুলে ইতিহাসের শিক্ষিকা হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০১৬ সালের প্যানেলে তাঁর নাম ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে একের পর এক সংকট তাঁকে মানসিকভাবে দুর্বল করে তুলেছিল। প্রথম বিবাহবিচ্ছেদের পর তিনি একা সংসার চালাচ্ছিলেন। ক্যানিংয়ের নবপল্লি এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন।
টাকা ফেরতের হুমকি (SSC Verdict Case)
গত বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রায়ে চাকরি চলে যাওয়ার পরই তাঁর ওপর ঋণদাতাদের চাপ বাড়ে। পাওনাদাররা বাড়িতে এসে হেনস্তা শুরু করেন, এমনকী টাকা ফেরতের জন্য হুমকিও দেন। এই চাপ সহ্য করতে না পেরে রুম্পা আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন। পরে তাঁর ভাড়াবাড়ির মালিক অস্বাভাবিক আচরণ লক্ষ করে দরজা ভেঙে দেখেন তিনি অচেতন অবস্থায় পড়ে আছেন। তাকে দ্রুত ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

চাকরি হারানোর শোক
সুইসাইড নোটে রুম্পা লিখেছেন, বিচ্ছেদের পর নতুন করে জীবন গড়ার চেষ্টা করেছিলেন। নতুন সম্পর্কেও আশার আলো দেখেছিলেন। কিন্তু ঋণের বোঝা ও চাকরি হারানোর শোক তাঁকে পিষ্ট করে। পাওনাদারদের উৎপাত, আর্থিক অনিশ্চয়তা এবং আশেপাশের মানুষের অসহযোগিতা তাঁকে নিঃসঙ্গ করে তোলে। তিনি মা-বাবা ও প্রেমিকের কাছে ক্ষমা চেয়ে চিঠি লিখে রেখেছিলেন।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চাকরিহারা শিক্ষকদের পাশে মুখ্যমন্ত্রী, ইন্ডোরে ‘রাজনৈতিক মোকাবিলা’র সভা
আত্মহত্যার চেষ্টা
এটি তাঁর প্রথম আত্মঘাতী প্রচেষ্টা নয়, গত বছরও তিনি একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তবে এবারের ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, চাকরি হারানো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের পুনর্বাসনে সরকারি উদ্যোগ কতটা কার্যকর। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে বিপুল সংখ্যক শিক্ষক বেকার হওয়ায় রাজ্যে বিক্ষোভও চলছে।