ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ইজরায়েল-ইরান সংঘর্ষে নিহত শীর্ষ কমান্ডার এবং বিজ্ঞানীদের জন্য (State funeral for top commanders and scientists) তেহরানে একটি ঐতিহাসিক রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হয়, তাদের আত্মত্যাগের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে এঙ্গেলাব থেকে আজাদি স্কয়ার পর্যন্ত একটি শোভাযাত্রার আয়োজন করা হয়।
যুদ্ধের পর শহিদদের সম্মানে বিশাল শোকযাত্রা (State funeral for top commanders and scientists)
ইজরায়েল ও ইরানের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতের কয়েকদিন পর তেহরানে শুরু হয়েছে এক ‘ঐতিহাসিক’ রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠান (State funeral for top commanders and scientists)। এই শোকসভা ও শবযাত্রা অনুষ্ঠিত হচ্ছে প্রায় ৬০ জন নিহত ব্যক্তির সম্মানে, যাদের মধ্যে রয়েছেন শীর্ষ সামরিক কমান্ডার ও পরমাণু বিজ্ঞানীরা।
কালো পোশাকে শোক, শহিদদের ছবিতে ভরা ভিড় (State funeral for top commanders and scientists)
ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন জানিয়েছে (State funeral for top commanders and scientists), “শহিদদের সম্মানে সরকারি অনুষ্ঠান শুরু হয়েছে।” টিভি চ্যানেলে দেখানো হয়েছে—লোকজন কালো পোশাক পরে, ইরানের পতাকা হাতে, নিহত কমান্ডারদের ছবি নিয়ে ভিড় করেছে। ইরানি রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম নিহত সামরিক কমান্ডার ও কর্মকর্তাদের কফিনের ছবি প্রকাশ করেছে। ছবিগুলিতে দেখা যাচ্ছে নিহত শীর্ষ সেনাপ্রধান মোহাম্মদ বাঘেরি, ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (IRGC)-এর প্রধান হোসেইন সালামি, এরোস্পেস ফোর্স কমান্ডার আমির-আলি হাজিজাদেহ, খাতাম আল-আম্বিয়া কমান্ডার গোলাম-আলি রাশিদ ও তাঁর উত্তরসূরি আলি শাদমানি, কুদস ফোর্সের প্যালেস্টাইন কর্পস প্রধান সাঈদ ইযাদি এবং সাঈদ বোরজির কফিন।
আরও পড়ুন: Zohran Mamdani awkward moment: লাইভ সাক্ষাৎকারে হঠাৎই বাজল পুরনো র্যাপ ভিডিও, হতবাক জোহরান মামদানি
কেন্দ্রীয় তেহরানে বিশাল জনসমাবেশ
ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, এই স্মরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হচ্ছে তেহরানের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত ‘ইনকিলাব স্কোয়ার’-এ। এই অনুষ্ঠান শেষে শোকযাত্রা এগিয়ে যাবে প্রায় ১১ কিলোমিটার দূরে আজাদি স্কোয়ারের দিকে। তেহরানের ইসলামিক ডেভেলপমেন্ট কোঅর্ডিনেশন কাউন্সিলের প্রধান মোহসেন মাহমুদি টেলিভিশনে এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত অনুষ্ঠান হবে, তারপর শহিদদের শবযাত্রা আজাদি স্কোয়ারের দিকে রওনা হবে।”

২৮ জুন: ইসলামিক বিপ্লবের এক ‘ঐতিহাসিক দিন’
মাহমুদি আরও জানান, শনিবার, ২৮ জুন “ইসলামি ইরান এবং বিপ্লবের জন্য এক ঐতিহাসিক দিন হয়ে থাকবে।” শোক, আবেগ ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় আয়োজিত এই দিনটিতে ইরান জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এক গভীর শোকের ছায়া।