ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: হোলির উৎসবে যখন সারা দেশে আবির উড়ছে, তখন (Strange Marriage) লখিমপুর খেরির নার্গদা গ্রামে এক অদ্ভুত ও অনন্য বিয়ের শোভাযাত্রা বের হয়। প্রতি বছর গ্রামবাসীরা এই ঐতিহ্য রক্ষা করেন, এবং এবছর বিশ্বম্ভর দয়াল মিশ্র ৪২ তম বারের জন্য বর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কিন্তু তিনি আবারও কনে পাননি।
গ্রামের অনন্য ঐতিহ্য (Strange Marriage)
এই অনুষ্ঠানটি সাধারণ বিয়ের মতো নয়, বরং শতাব্দীপ্রাচীন (Strange Marriage) একটি ঐতিহ্য। হোলির দিন, গ্রামের বরকে বিশেষভাবে সাজানো হয় এবং বিয়ের শোভাযাত্রা বের করা হয়। গ্রামবাসীরা আনন্দ-উল্লাসের সঙ্গে বিয়ের সব আচার-অনুষ্ঠান পালন করেন, কিন্তু কনে কখনও আসে না। এই অনন্য ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে গ্রামের সবাই পূর্ণ নিষ্ঠা ও উৎসাহের সঙ্গে যুক্ত হন।
রাঙা বর! (Strange Marriage)
যখন বর ট্রাক্টরে করে বিয়ের শোভাযাত্রা শুরু করেন, তখন পুরো গ্রাম হোলির রঙ রাঙা হয়ে (Strange Marriage) একত্রিত হয়। আবির আর রঙে সিক্ত বিয়ের অতিথিরা ঢোলের তালে নাচেন। শোভাযাত্রা যখন কনের বাড়ির দিকে এগোয়, তখন ঐতিহ্য অনুযায়ী তাকে স্বাগত জানানো হয়। কনের পা ধোয়া হয়, শুভগান গাওয়া হয় এবং ‘দ্বারপূজন’ অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়।
আরও পড়ুন: Domestic Violence: সহবাস করলেই ৫০০০, না পোষালে ডিভোর্স, অদ্ভুত দাবি স্ত্রীর!
কেন পালিত হয়?
গ্রামের প্রবীণদের মতে, এই ঐতিহ্য শতাব্দী ধরে চলে আসছে। শুধু বিশ্বম্ভরই নন, তার বড় ভাই শ্যামবিহারী মিশ্রের বিয়ের মিছিলও ৩৫ বার কনে ছাড়াই ফিরে এসেছে। যদিও এই অনন্য আচার পালনের পিছনে কারণ সম্পূর্ণরূপে স্পষ্ট নয়, গ্রামবাসীরা এটিকে তাদের সংস্কৃতি এবং বিশ্বাসের সঙ্গে যুক্ত করে।
গর্বের সঙ্গে পালন
গ্রামের লোকেরা এই অনুষ্ঠানকে গর্বের সঙ্গে পালন করেন। তারা বলেন, “হোলির দিনে এই অনন্য বিয়ের অংশ হতে পারা আমাদের জন্য গর্বের বিষয়।” তারা এই ঐতিহ্য অনুসরণ করে আসছেন এবং ভবিষ্যতেও এটি বজায় রাখার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন। প্রতি বছর, কেবল গ্রামবাসীরা নয়, দূর-দূরান্ত থেকেও বহু মানুষ এই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে এবং এটি দেখার জন্য আগ্রহী হয়ে ওঠেন।