ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বর্ধমানের তেজগঞ্জ উচ্চবিদ্যালয়ে দিনের পর দিন (Student Harassed By Teacher) ছাত্রীর শ্লীলতাহানি। এই অভিযোগে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই বিদ্যালয়সহ এলাকায়। অভিযোগ, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে দীর্ঘদিন থেকেই নানাভাবে উত্যক্ত করতো স্কুলেরই এক শিক্ষক। নানা অছিলায় তাঁকে স্পর্শও করতো। কাউকে জানানো মারধরের হুমকিও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ। এরইমধ্যে শিক্ষকের অত্যাচার বাড়তে থাকায় বাড়িতে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী। বিষয়টি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। তাই শুক্রবার স্কুলেই চড়াও হয় অভিভাবকরা। যদিও অভিযুক্ত শিক্ষকদের দাবি, উনি ভালোবেসেই ছাত্রীর মাথায় হাত রেখেছিলেন।
নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতেন (Student Harassed By Teacher)
অভিভাবকদের অভিযোগ, স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীকে নানাভাবে উত্যক্ত করার পাশাপাশি তাকে নানা অছিলায় অশ্লীলভাবে স্পর্শ করতেন এক শিক্ষক (Student Harassed By Teacher)। এমনকি, তাঁর ওই কাণ্ড কাউকে জানালে ছাত্রীকে মারধরের হুমকি দিতেন। যদিও কোনও ভাবে ছাত্রীর বাবা-মা বিষয়টি জানতে পারেন। তাঁরা গত ২ এপ্রিল প্রধানশিক্ষকের কাছে বিষয়টি নিয়ে লিখিত ভাবে অভিযোগ জানান। কিন্তু কোনও পদক্ষেপ করা তো হয়নি, উল্টে ছাত্রীকে আবার অভিযুক্ত শিক্ষক হুমকি দেন।
মারধর করতে উদ্যত হন অভিভাবকেরা (Student Harassed By Teacher)
ছাত্রীর মায়ের অভিযোগ, বিষয়টি এলাকায় শাসকদলের পার্টি অফিসে গিয়ে মিটিয়েও নিতে বলা হয়। অভিভাবকেরা শুক্রবার স্কুলের প্রধানশিক্ষকের কাছে দল বেঁধে যেতেই উত্তেজনা ছড়ায়। তাঁদের দাবি, অভিযোগের প্রেক্ষিতে স্কুল কর্তৃপক্ষ সদুত্তর দিতে পারেননি। স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, অভিযুক্ত শিক্ষককে মারধর করতে উদ্যত হন অভিভাবকদের বড় অংশ (Student Harassed By Teacher)। গন্ডগোলের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বর্ধমান থানার পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। ওই শিক্ষককে অভিভাবকদের হাত থেকে বাঁচিয়ে থানায় নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: Women Shackled By Parents: ‘চাকরি করা যাবে না’, মেয়ের পায়ে লোহার শিকল বেঁধে রাখলেন মা-বাবা
ছাত্রীকে শাসন এবং স্নেহ করতেন
অভিযুক্ত শিক্ষক বিশ্বরূপ দাস দাবি করেন, তিনি অভিভাবক হিসাবে ছাত্রীকে শাসন এবং স্নেহ করতেন। তাঁর কথায়, ‘‘ওকে শাসন করেছি। আবার ভালবেসে মাথায় হাতও রেখেছি। এর বাইরে কিছু করিনি।’’ আর এ নিয়ে জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাসের মন্তব্য, ‘‘আইন আইনের পথে চলবে। এখানে কোনও রাজনৈতিক দলের বিষয় নেই।’’