ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজধানী খারতুম হাতছাড়া হওয়ার পরে সুদানের গৃহযুদ্ধে নতুন মোড়। সেনাবাহিনীর হাতে শক্তি হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে পড়ে দেশের আধাসামরিক বাহিনী ‘র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্স’ (Sudan Civil War)। পরিস্থিতি ঘুরিয়ে দিতে মরিয়া আরএসএফ সোমবার রাতে উত্তর করদোফান প্রদেশের বারা শহর এবং পার্শ্ববর্তী গ্রামগুলিতে চালায় ভয়াবহ হামলা। নির্বিচারে হত্যা করা হয় নারী-শিশুসহ অন্তত ৩০০ জন অসামরিক নাগরিককে। সূত্রের খবর, হামলার পরে আতঙ্কে এলাকা ছাড়েন কয়েক হাজার বাসিন্দা। মঙ্গলবার একটি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টে এই তথ্য সামনে আসে।
যুদ্ধের প্রেক্ষাপট (Sudan Civil War)
২০২৩ সালের এপ্রিলে শুরু হওয়া সুদানের গৃহযুদ্ধ দুই শক্তিশালী জেনারেলের ক্ষমতা-দখল ঘিরেই শুরু(Sudan Civil War)। সেনাপ্রধান জেনারেল আবদেল আল ফতা আল বুরহান এবং আরএসএফ প্রধান জেনারেল মহম্মদ হামদান ডাগালো (হেমেদতি)-র মধ্যে এই দ্বন্দ্বের বলি হয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। ঘরছাড়া হয়েছেন প্রায় ১ কোটি ২০ লক্ষেরও বেশি নাগরিক। দু’জন জেনারেলের বিরুদ্ধেই রয়েছে ভয়াবহ মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ—যার মধ্যে রয়েছে ধর্ষণ, লুটতরাজ, গণহত্যা এবং যুদ্ধাপরাধের মতো অপরাধ।
নতুন সরকার ও আরএসএফের পশ্চাদপসরণ (Sudan Civil War)
খারতুম পুনর্দখলের পর চলতি বছরের মে মাসে সুদানের সেনা-সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে রাষ্ট্রপুঞ্জের প্রাক্তন আধিকারিক আল-তায়েব ইদ্রিস আবদেল হাফিজকে নিয়োগ করেন জেনারেল বুরহান। এরপর থেকে দেশের বিভিন্ন অংশে সেনা অভিযান আরও জোরদার হয়। বেশ কিছু এলাকা থেকে পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে আরএসএফ বাহিনী।

গণহত্যা একটি ‘প্রতিশোধমূলক হামলা’? (Sudan Civil War)
বিশেষজ্ঞদের মতে, আরএসএফের এই হামলা ছিল প্রতিশোধ ও শক্তির জানান দেওয়ার চেষ্টা। পরপর কয়েকটি এলাকায় হার এবং নেতৃত্বে ভাঙনের ইঙ্গিত থাকায় বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে(Sudan Civil War)। এই অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর গণহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।
আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়া ও উদ্বেগ (Sudan Civil War)
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে জাতিসংঘ(UNO), আফ্রিকান ইউনিয়ন ও আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলি(Sudan Civil War)। জাতিসংঘের মহাসচিব জানিয়েছেন, “এই ধরনের হামলা যুদ্ধাপরাধ। এর জন্য দায়ীদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি হতে হবে।” মানবিক সাহায্য সংস্থাগুলি আশঙ্কা করছে, পরিস্থিতির আরও অবনতি হলে দুর্ভিক্ষ ও রোগব্যাধির ভয়াবহতা বাড়তে পারে।বিশেষজ্ঞদের মতে, আরএসএফের এই হামলা ছিল প্রতিশোধ ও শক্তির জানান দেওয়ার চেষ্টা। পরপর কয়েকটি এলাকায় হার এবং নেতৃত্বে ভাঙনের ইঙ্গিত থাকায় বাহিনীর মনোবলে চিড় ধরেছে বলে মনে করা হচ্ছে। এই অবস্থায় বেসামরিক নাগরিকদের উপর গণহত্যার পথ বেছে নেওয়া হয়েছে।