ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সূত্র মারফত জানা গেছে গতকাল রাতে রাজধানী খার্তুমের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে গোলাবর্ষণ (Sudan shelling) করা হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা জুড়ে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনীর মধ্যে লড়াই যত তীব্র হচ্ছে, ততই দেশটি যেন ধ্বংসের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
প্রাণ হারিয়েছেন শতাধিক (Sudan shelling)
খার্তুম এলাকায় এই গোলাবর্ষণের (Sudan shelling) ফল হয়েছে বীভৎস। এখনও পর্যন্ত জানা গেছে যে, এই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছে প্রায় ১২০ জন মানুষ। সুদানের স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকারীরা এই তথ্য জানিয়েছেন।
কারা ঘটালো এই ঘটনা? (Sudan shelling)
প্রাথমিক তদন্তের পরও জানা যায়নি যে গোলাবর্ষণের (Sudan shelling) এই ঘটনার পেছনে কার হাত রয়েছে। উদ্ধারকর্মীরা জানিয়েছেন, নিহতের সংখ্যা গণনা করা সম্ভব হলেও, ঘটনার পেছনের কারণ জানা এখনই সম্ভব নয়।
আহতরা আছেন কেমন?
স্বেচ্ছাসেবী উদ্ধারকর্মীদের একটি নেটওয়ার্কের অংশ ওমবাদা ইমার্জেন্সি রেসপন্স রুম সূত্রের মারফত জানা গেছে, আহতদের যথাসম্ভব উপযুক্ত চিকিৎসা দেবার ব্যবস্থা চলছে। কিন্তু চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে। এর কারণে প্রাথমিক সেবা-শুশ্রুষা করা গেলেও, আরও উন্নতমানের চিকিৎসা করা এখনই সম্ভব হচ্ছে না।
যুদ্ধের ২০ মাস পার
যুদ্ধের ২০ মাস পার হবার পর গোলাবর্ষণের এই ঘটনা যে একেবারেই অনভিপ্রেত নয়, তা বোঝাই যাচ্ছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্তরের রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যারাই এই ঘটনাটি ঘটিয়ে থাকুক না কেন, তারা বুদ্ধি খাটিয়েই এই দিনটিকে বেছে নিয়েছে। তার কারণ, এই মুহূর্তে সেনাবাহিনী ও আরএসএফের মধ্যে লড়াই আরও তীব্রতর হয়েছে।
আরও পড়ুন: Pakistan Gold Mine: পাকিস্তানের স্বর্ণভাণ্ডারের উপর নজর আরবের, লগ্নি কবে?
পটভূমি
সোমবার সুদানের সেনাসমর্থিত সরকারের অবস্থান পোর্টে বিদ্যুৎ সংক্রান্ত গণ্ডগোল দেখা যায়। দেশের উত্তরাঞ্চলের একটি প্রধান জলবিদ্যুৎ বাঁধে ড্রোন হামলার কারণে এই ঘটনাটি ঘটে। মনে করা হচ্ছে আধাসামরিক বাহিনীর দ্বারাই এই হামলা করানো হয়েছে। এক বছরের বেশি সময় ধরে আরএসএফের দখলে ছিল আলজাজিরা রাজ্যের রাজধানী। ড্রোন হামলার পর আলজাজিরা রাজ্যের রাজধানী ওয়াদ মাদানি জায়গাটিকে পুনর্দখল করে সেনাবাহিনী। তারপরই এই গোলাবর্ষণের কাণ্ড ঘটানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: Bangladesh Election: ২১ বছর হলেই হওয়া যাবে সাংসদ, মেয়াদ চার বছর, এক গুচ্ছ সুপারিশ বাংলাদেশে
ক্ষয়ক্ষতির হিসেবে-নিকেশ
সুদানের দুর্বল অবকাঠামোকে একেবারে ধ্বংস করে দিয়েছে এই যুদ্ধ। এই যুদ্ধের ফলে এক কোটি ২০ লাখের বেশি মানুষ ভিটেমাটি ছাড়া হয়েছে। কয়েক লাখ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়াও এরকম অবস্থা চলতে থাকার ফলে সৃষ্টি হয়েছে দুর্ভিক্ষের। ইউনিসেফ জানিয়েছে এই যুদ্ধাবস্থার কারণে ২০২৫ সালে ৩২ লাখ শিশুর শরীরে তীব্র অপুষ্টির দেখা দিতে পারে। ইন্টিগ্রেটেড ফুড সিকিউরিটি ফেজ ক্লাসিফিকেশনের এক প্রতিবেদন মারফত জানা গেছে, দেশজুড়ে দুই কোটি ৪৬ লাখেরও বেশি মানুষ ‘তীব্র খাদ্যসংকটে’ ভুগছে। এই অবস্থায় যুদ্ধবিরতি না হলে খাদ্য সংকট দূর করা যাবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।