ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ভারতে চিনি উৎপাদনের (Sugar Price) পরিমাণ আগামী কয়েক বছরে বড়সড় বৃদ্ধি পেতে চলেছে। বিশেষত ২০২৬ সালের মরশুমে উৎপাদন অন্তত ১৫ শতাংশ বাড়বে বলেই বিশেষজ্ঞদের মত। দেশের একাধিক রাজ্যে, বিশেষ করে মহারাষ্ট্র ও কর্নাটকে এবার স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যার ফলে আখচাষ ভালো হয়েছে এবং সেই প্রভাব পড়ছে চিনির উৎপাদনেও।
সাধারণ মানুষের জন্য সুখবর (Sugar Price)
এই অতিরিক্ত উৎপাদনের জেরে দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে শুরু (Sugar Price) করে রফতানি সব ক্ষেত্রেই গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়তে চলেছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদেরা। একদিকে যেমন চিনি মিলগুলি লাভের মুখ দেখতে পারে, অন্যদিকে দেশের বাজারে চিনির দাম কমে যাওয়ার সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। বর্তমানে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে প্রায় ৩৫ থেকে ৩৮ টাকায়। উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে এই দামে কতটা পরিবর্তন হবে, তা এখনই নিশ্চিত করে বলা না গেলেও সাধারণ মানুষের জন্য এটা সুখবরই বলা চলে।
৯ থেকে ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা (Sugar Price)
চিনি শিল্পে বিগত কয়েক বছরে যে আর্থিক চাপ ছিল, তা থেকে অনেকটা (Sugar Price) মুক্তি পেতে পারে এই বৃদ্ধির ফলে। বিশেষজ্ঞদের মতে, ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের চিনি বাজারে ৯ থেকে ৯.৫ শতাংশ বৃদ্ধির সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৃদ্ধির সুবিধা পাবে মূলত সুগার মিলগুলি এবং সেই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কৃষকরাও।
সামান্য হলেও বাজারে প্রভাব
অন্য একটি দিকও এখানে গুরুত্বপূর্ণ। ইথানল উৎপাদন যা বর্তমানে চিনির একটি বড় সেকেন্ডারি পণ্য হিসেবে বিবেচিত তাতেও উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি দেখা যাবে বলে অনুমান। ২০২৫ সালে যেখানে ইথানল উৎপাদনের পরিমাণ ছিল সাড়ে ৩ মিলিয়ন টন, ২০২৬ সালে তা বাড়বে প্রায় ৪ মিলিয়ন টনে। যদিও বিগত দুই বছরে আখের দাম প্রায় ১১ শতাংশ বেড়েছে, সেখানে ইথানলের দর অপরিবর্তিত ছিল। এই অসামঞ্জস্যতা সামান্য হলেও বাজারে প্রভাব ফেলতে পারে।
আরও পড়ুন: Safe Headphone: দীর্ঘক্ষণ হেডফোন ব্যবহারে মারাত্মক ক্ষতি, কমছে শ্রবণশক্তি-সতর্ক থাকুন এখনই

সার্বিকভাবে বলা যেতে পারে, দেশে চিনির উৎপাদন বৃদ্ধি কৃষক থেকে শুরু করে শিল্পের সঙ্গে যুক্ত বহু পক্ষের জন্যই ইতিবাচক। তবে সরকারকে নজর রাখতে হবে, যাতে অতিরিক্ত উৎপাদনের ফলে দাম একেবারে পড়ে গিয়ে কৃষক বা মিল মালিকদের কোনওভাবে আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে না হয়। চিনির পাশাপাশি ইথানলের উৎপাদন ও দাম নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও জরুরি। ভবিষ্যতের এই সম্ভাবনাময় বাজারে ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন মূল চ্যালেঞ্জ।