ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: প্রাথমিক শিক্ষা নিয়োগ দুর্নীতির (Sujay Krishna Bhadra) মামলায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা সিবিআই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র ওরফে ‘কালীঘাটের কাকু’র বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দিয়েছে।
অন্যান্য অভিযুক্ত কারা? (Sujay Krishna Bhadra)
এই মামলায় অন্যান্য অভিযুক্তদের (Sujay Krishna Bhadra) মধ্যে রয়েছেন শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অরুণ হাজরা। শুক্রবার কলকাতা নগরদায়রা আদালতে এই চার্জশিট জমা দেওয়া হয়। এই মামলায় আগেই অন্তর্বর্তী জামিন পেয়েছিলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। বর্তমানে তিনি বেহালায় নিজের বাসভবনেই রয়েছেন।
ইডি ও সিবিআই-এর গ্রেফতারি (Sujay Krishna Bhadra)
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির (Sujay Krishna Bhadra) অভিযোগে প্রথমে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রকে গ্রেফতার করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টোরেট (ইডি)। দীর্ঘদিন তিনি প্রেসিডেন্সি জেলে আটক ছিলেন। পরবর্তীতে একই মামলায় তাকে সিবিআই গ্রেফতার করে। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি আদালতে সশরীরে হাজিরা দিতে পারেননি। এর ফলে সিবিআইকে বেশ কয়েকবার খালি হাতে ফিরতে হয়েছে।
‘কাকু-র কণ্ঠস্বরের নমুনা
আদালতে সিবিআই জানায়, সুজয়কৃষ্ণের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা প্রয়োজন। এই কারণেই তাকে আবারও হেফাজতে নেওয়ার চেষ্টা করে সংস্থাটি। তবে তার অসুস্থতার কারণে এই প্রক্রিয়া দীর্ঘদিন ধরে ঝুলে ছিল। পরে আদালতের নির্দেশে তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয় এবং শর্তসাপেক্ষে তাকে অন্তর্বর্তী জামিন দেওয়া হয়।
অবশেষে আদালতে হাজিরা
গত ১১ ফেব্রুয়ারি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র আদালতে হাজিরা দেন এবং সেদিনই তার কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি আদালত তার চূড়ান্ত অন্তর্বর্তী জামিন মঞ্জুর করে। ইডির মামলায় আগেই তিনি জামিন পেয়েছিলেন। তবে আদালতের শর্ত অনুযায়ী, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র বেহালার বাসভবন ছাড়া অন্য কোথাও যেতে পারবেন না এবং তার ওপর সিবিআইয়ের নজরদারি অব্যাহত থাকবে।

চার্জশিট জমা দিল সিবিআই
এই মামলাটি পশ্চিমবঙ্গের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগের সঙ্গে জড়িত। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ঘুষ ও অনিয়মের মাধ্যমে অসদুপায়ে অর্থ উপার্জন করা হয়েছে। এই মামলায় বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ ব্যক্তি এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জড়িত রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেওয়াকে এই মামলার একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। এখন আদালতের রায়ই নির্ধারণ করবে, এই মামলায় অভিযুক্তরা দোষী প্রমাণিত হন কি না।