ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের দ্বারস্থ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)। আসন্ন ২০২৬ বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Election 2026) তৃণমূল-বিজেপি উভয়ের কাছে মূল ইস্যু ভূতুড়ে ভোটার (Fake Voter)। ইতিমধ্যেই এনিয়ে সরব হয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ‘ভুয়ো’ ভোটার ধরতে যখন বাড়ি-বাড়ি ছুটছেন তৃণমূল নেতারা। সেই সময় বিস্ফোরক অভিযোগ করছে বিজেপি।
ভোটার লিস্ট থেকে হিন্দুদের নাম বাদ দিচ্ছে, দাবি শুভেন্দুর(Sukanta Majumdar)
রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর দাবি, ভুয়ো ভোটারের নামে আদতে হিন্দিভাষী ও হিন্দু বাঙালি ভোটারদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে। এবার এই অভিযোগ নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের(Amit Shah)কাছে পৌঁছে গেলেন বিজেপি-র রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar)।
শাহের সঙ্গে সাক্ষাৎ সুকান্তর(Sukanta Majumdar)
সোমবার বঙ্গ বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার(Sukanta Majumdar) ফের সাক্ষাৎ করলেন শাহের সঙ্গে। বিজেপি সূত্রের দাবি, এ রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে শাহের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন সুকান্ত। একই অভিযোগ তুলে কলকাতাতেও সোমবার সাংবাদিক বৈঠক করেছেন রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। সোমবার শুভেন্দু অধিকারী দাবি করেছেন, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এই ভোটারদের নাম কাটা শুরু হয়েছে। তিনি বলেছেন, “ভোটার তালিকায় হিন্দুদের নাম কেটে দেওয়া হচ্ছে।”
আরও পড়ুন: Emergency Landing: জরুরি অবতরণ বিমানের, অল্পের জন্য রক্ষা পেলেন উপ-মুখ্যমন্ত্রী ও ডিজিপি!
‘ভুয়ো’ ভোটারের অভিযোগ নিয়ে শাহী দরবারে সুকান্ত
বিজেপি সূত্রের খবর, সংসদে শাহের দফতরে গিয়ে সুকান্ত তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন। উত্তর চব্বিশ পরগনার বাগদা এবং নদিয়ার কৃষ্ণনগর-২ ব্লকে বেছে বেছে হিন্দু ভোটারদের নাম ভোটার তালিকা থেকে তৃণমূল বাদ দিতে চাইছে বলে বিজেপি সোমবার সকাল থেকেই অভিযোগ তোলা শুরু করেছিল। ধর্মীয় কারণে অত্যাচারের শিকার হয়ে বাংলাদেশ থেকে উদ্বাস্তু হয়ে যাঁরা পশ্চিমবঙ্গে চলে এসেছিলেন, তাঁদের এখন বেছে বেছে ভোটার তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে বলে দাবি বিজেপির।
আরও পড়ুন: Euros Inside Pant: নতুন কেনা প্যান্টের পকেটে ১০ ইউরো, হতবাক তরুণী
বঙ্গের বিধানসভা নির্বাচন নিয়েও আলোচনা?
বিজেপির আরও দাবি, যাঁরা উদ্বাস্তু বা শরণার্থী হয়ে এসেছিলেন, তাঁরা আগেই বিভিন্ন সময়ে এ দেশের নাগরিকত্ব পেয়ে গিয়েছেন। তার পরেও যাঁদের নাগরিকত্ব নিয়ে সংশয় প্রকাশের অবকাশ ছিল, তাঁদেরকে বৈধতা দিতে কেন্দ্রীয় সরকার সংসদে সিএএ পাশ করায় ২০১৯ সালেই। তা সত্ত্বেও বাংলাদেশ থেকে আসার অজুহাত দেখিয়ে এখন ভোটার তালিকা থেকে কারও নাম বাদ দেওয়ার চেষ্টা বেআইনি বলে বিজেপির দাবি। শাহের সঙ্গে দেখা করে সুকান্ত এই বিষয়টি জানিয়ে এসেছেন বলে খবর। ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের প্রস্তুতি সংক্রান্ত আলোচনাও হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রের দাবি। কিন্তু শাহের সঙ্গে কী কথা হয়েছে, সে বিষয়ে সুকান্ত কোনও মন্তব্য করতে চাননি।