ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফেব্রুয়ারি পেরিয়ে মার্চ মাস আসতেই গরমের রেশ। আর এই তপ্ত দহনের মাঝে আউটডোর শুটিং করা ভীষণ চাপের (Suman Dey)। শুটিংয়ের জন্য মেকআপ থেকে শুরু করে কস্টিউম, এই সময়টা কতটা কষ্টের হয় ? ছোটবেলায় গরম মানে স্কুলের ছুটি, আর বিকেল থেকে হুটোপুটি করে খেলাধুলো। এরকম নানান স্মৃতির নস্টালজিয়ায় ভাসলেন ‘মিঠিঝোরা’ (Mithijhora) ধারাবাহিকের অনির্বাণ অর্থাৎ অভিনেতা সুমন দে (Suman Dey)। ট্রাইব টিভির সঙ্গে শেয়ার করলেন তাঁর ছোটবেলার বহু মজার গল্প থেকে শুরু কর, গরমে শুটিং করার অভিজ্ঞতার কথা।
গরমে ভালো থাকার বার্তা (Suman Dey)
এই গরমে সুমনের (Suman Dey) বার্তা “গরম কালে যত পারবে জল খাবেন। জল প্রাথমিক প্রয়োজন। জলকে এক নম্বরে রাখতে হবে। কারণ ঘাম হয় প্রচুর। পাশাপাশি জল বেশি আছে, এমন ফল যেমন তরমুজ, এই ধরনের ফল খেতে হবে। আর রোদ যতটা এড়িয়ে চলা যায় ততটাই ভালো। ছাতা ব্যবহার করতে হবে।”
নিজের খেয়াল কীভাবে রাখেন? (Suman Dey)
এই গরমে শুটিংয়ের ক্ষেত্রে সুমন (Suman Dey) নিজের খেয়াল কীভাবে রাখেন? অভিনেতার কথায়, “আউটডোর শুটিং থাকলে মুখে একটু সানস্ক্রিন ব্যবহার করি। আর মেকআপ তো থাকেই। যখন শট থাকে না, তখন ছায়ায় দাঁড়িয়ে থাকি। আগের প্রজেক্টে আমি খুব কষ্ট করে শুট করেছি । আমাদের আউটডোরে শুট ছিল। বোলপুরে গিয়ে শুটিং হয়েছিল। তখন এপ্রিল মে মাস নাগাদ। প্রচণ্ড গরম ছিল। আমার বেশিরভাগ প্রজেক্টেই ব্লেজার ব্যবহার করতে হয়। একদম পুরো ঘেমে ছিলাম। তার সত্ত্বেও শুটিং করেছি। কারণ মনের শান্তিটাই আসল। শারীরিক কষ্ট হয় হোক, কিন্তু অভিনয় করে মনের শান্তি পাচ্ছি।”
আরও পড়ুন: Mohona Maiti: দেবকে ভালোবেসে ভেঙেছিলেন খাট! স্বপ্নপূরণে কী করেছিলেন মোহনা?
ছোটবেলার স্মৃতি
ছোটবেলায় গরমের ছুটি মানে প্রচুর মজা আর আনন্দ। ছোটবেলাটা কেমন ছিল অভিনেতার? সুমন বলেন ” ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে ঠাকুমার বাড়িতে থাকতাম। ভাই বোন সবাই একসাথে মিলে খেলতাম। আমার ঠাকুমার বাড়িতে বড় পেয়ারা বাগান ছিল। সেখানে পেয়ারা গাছে উঠতাম। আমি গাছে উঠতে পারি। তবে নারকেল কিংবা সুপারি গাছে পারব না।”
আরও পড়ুন: Filmfare Awards Bangla 2025: ফিল্মফেয়ারে শুভশ্রীর প্রশংসায় গদগদ মিমি! কেমন ছিল তারকাদের রূপের ঝলক?
বোনদের সঙ্গে খেলতেন কিতকিত
অভিনেতা বলেন ” ছোটবেলায় গাছে ওঠা থেকে শুরু করে ঘুড়ি ওড়ানো, লাট্টু খেলা, ডাংগুলি খেলা, কানামাছি, কুমিরডাঙ্গা এগুলো আমি গরম কালে খুব খেলতাম। এমনকি আমি বোনদের সাথে কিতকিতও খেলেছি। পুরো পাড়া জুড়ে লুকোচুরি খেলতাম। আর আন্ডার কনস্ট্রাকশন বিল্ডিং থাকা মানে, লটারি লেগে যাওয়া। ওর থেকে ভালো লুকানোর জায়গা আর ছিল না। কাঠ বাঁশ যা থাকত, সেগুলো সরিয়ে আমরা গিয়ে লুকিয়ে থাকতাম। আর যদি লোডশেডিং হত, তাহলে তো আরও আনন্দ। এখন গরমের ছুটি পড়লে, শিলিগুড়ির বাড়িতে যাব। ওখানে গেলে সারাদিন মোটামুটি পাহাড়ে থাকি।”