ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মহাকাশে আট দিনের জন্য অভিযানে গিয়েছিলেন, কিন্তু ফিরে (Sunita Williams) এলেন সাড়ে ন’মাস পর। মঙ্গলবার পৃথিবীতে ফিরে এসেছেন ভারতীয়-আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী ব্যারি বুচ উইলমোর। তাঁদের সঙ্গে আছেন NASA-র আর এক মহাকাশচারী নিক হেগ এবং রাশিয়ার অলেকজান্ডার গরবুনভ। তবে, বাড়িতে ফেরার আগে তাঁদের কোয়ারান্টিনে থাকতে হবে, কারণ মহাকাশে দীর্ঘকাল থাকার কারণে শরীরে একাধিক পরিবর্তন ঘটেছে।
বাড়তে পারে উচ্চতা! (Sunita Williams)
NASA-র মতে, মহাকাশে দীর্ঘ সময় থাকার ফলে যে পরিবর্তনগুলো ঘটে, তার মধ্যে একটি হল (Sunita Williams) উচ্চতা বেড়ে যাওয়া। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবে শিরদাঁড়ার বিন্যাস পরিবর্তিত হয়। পৃথিবীতে থাকাকালীন, মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবে শিরদাঁড়া সঙ্কুচিত থাকে, কিন্তু মহাকাশে তা থাকে না। ফলে, অস্থিসন্ধির মাঝের অংশ প্রসারিত হয় এবং মহাকাশচারীদের উচ্চতা প্রায় দুই ইঞ্চি পর্যন্ত বেড়ে যেতে পারে।
মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাব (Sunita Williams)
তবে এই উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব (Sunita Williams) স্থায়ী নয়। পৃথিবীতে ফিরে আসার পর আবার মাধ্যাকর্ষণ শক্তির প্রভাব শিরদাঁড়াকে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে নিয়ে আসে। ফলে, কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মহাকাশচারীরা তাদের পূর্ববর্তী উচ্চতায় ফিরে যান। NASA-র Human Research Programme নামের গবেষণা প্রকল্পটি গত ৫০ বছর ধরে মহাকাশচারীদের শরীরে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির অভাবের প্রভাব নিয়ে গবেষণা করে আসছে।
কী কী পরিবর্তন হয়?
লম্বা সময় মহাকাশে থাকার কারণে শরীরের পেশির ক্ষমতা কমে যায় এবং হাড়ের ক্ষয় শুরু হয়। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এবং শরীরের স্বাভাবিক প্রতিক্রিয়া নষ্ট হয়। মাধ্যাকর্ষণের অভাবে শরীরে তরল পদার্থের সঞ্চালন ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে, ফলে মুখ ফুলে যায় এবং পায়ের আকার সরু হয়ে যায়। স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার উপরও প্রভাব পড়ে এবং নমনীয়তা হারিয়ে যায়।

বিশেষ প্রশিক্ষণ
মহাকাশে থাকার ফলে শরীরের স্বাভাবিক রক্তচাপ বজায় থাকে না, যা পৃথিবীতে সম্পূর্ণ ভিন্ন। এজন্য মহাকাশচারীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ প্রয়োজন, যাতে তারা পৃথিবীর পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারেন।
আরও পড়ুন: Domestic Violence: স্বামীকে পরকীয়ায় বাধা, স্ত্রীকে জ্যান্ত জ্বালিয়ে মারার চেষ্টা এক যুবকের!
৪৫ দিনের পুনর্বাসন প্রক্রিয়া
সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রীদের জন্য আগামী ৪৫ দিন ধরে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া চলবে NASA-র জনসন স্পেস সেন্টারে, যেখানে তাঁদের স্বাভাবিকভাবে হাঁটাচলা করার সক্ষমতা ফিরে পেতে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। মহাকাশে ফিরে আসার পর তাদের স্বাস্থ্য এবং মানসিক অবস্থার দিকে বিশেষ নজর দেওয়া হবে।