ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : আধার, ভোটার কার্ড ও প্যান কার্ডের মতো গুরুত্বপূর্ণ নথি থাকার পরেও বেআইনি অনুপ্রবেশকারী হিসেবে চিহ্নিত করে বহিষ্কারের মুখে পড়েছিলেন কাশ্মীরের এক পরিবার(Supreme Court)। সেই অভিযোগ নিয়ে তারা দ্বারস্থ হয় সুপ্রিম কোর্টে। দেশের শীর্ষ আদালত আপাতত সেই পরিবারকে স্বস্তি দিয়েছে। সরকারের উদ্দেশে বলা হয়েছে, তথ্য যাচাই না করে এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না-দিয়ে কোনও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না। শ্রীনগরের ছয় সদস্যের এই পরিবার আদালতে জানিয়েছে, তারা ভারতীয় নাগরিক। পরিবারটির এক সদস্য বেঙ্গালুরুতে কর্মরত, বাকি সদস্যরা থাকেন শ্রীনগরেই। তাঁদের দাবি, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র—সবই রয়েছে তাঁদের। তা সত্ত্বেও তাঁদের পাকিস্তানি বলে চিহ্নিত করে গ্রেফতার করে দেশে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে।
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য (Supreme Court)
বিচারপতি সূর্য কান্ত এবং বিচারপতি এনকে সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ শুক্রবার জানায়, “এই মামলায় মানবিক দিকটি ছাড়াও আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় রয়েছে(Supreme Court)। সব দিক বিচার না করে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়।” বিচারপতিরা স্পষ্ট করে দেন, যতক্ষণ না সরকার তথ্য যাচাই করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, ততদিন ওই পরিবারের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না।আদালত আরও জানায়, “এই নির্দেশ কোনও নজির সৃষ্টি করে না। শুধুমাত্র এই মামলার নির্দিষ্ট প্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দেওয়া হল।” সরকার (Narendra Modi) চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিলে, পরিবারটি জম্মু ও কাশ্মীর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারবে বলেও জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।
পাকিস্তানি নাগরিকদের বিতাড়নের প্রেক্ষাপট(Supreme Court)
গত ২৭ এপ্রিল ছিল ভারতে বসবাসকারী পাকিস্তানি নাগরিকদের (মেডিক্যাল ও কূটনৈতিক ভিসা ব্যতীত) দেশ ছাড়ার সময়সীমার শেষ দিন(Supreme Court)। পহেলগাঁওয়ে সাম্প্রতিক জঙ্গি হামলার পর ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই কেন্দ্রীয় সরকার পাকিস্তানিদের ভিসা বাতিল করে দেয়।এই সিদ্ধান্তের জেরে বহু দীর্ঘদিন ভারতে বসবাসকারী মানুষ সমস্যায় পড়েছেন, বিশেষ করে যাঁদের প্রামাণ্য পরিচয়পত্র থাকা সত্ত্বেও নাগরিকত্ব নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে।

মানবিকতা বনাম নিরাপত্তা(Supreme Court)
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট একটি স্পষ্ট বার্তা দিয়েছে—কোনও ব্যক্তিকে কেবল সন্দেহের ভিত্তিতে বা জাতীয় নিরাপত্তার আবরণে নাগরিক অধিকারের প্রশ্নে পদক্ষেপ নেওয়া যাবে না(Supreme Court)। মানবিক মূল্যবোধ ও আইনি প্রক্রিয়া মেনে চলা যে কতটা জরুরি, তা এ ক্ষেত্রেও উঠে এসেছে।তবে একই সঙ্গে দেশের নিরাপত্তার প্রশ্নে সরকারকেও তথ্য যাচাই ও সংবেদনশীল সিদ্ধান্ত নেওয়ার দায়িত্ব স্মরণ করিয়ে দিয়েছে শীর্ষ আদালত।