ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফেসবুক-সহ অন্যান্য সমাজ মাধ্যম ব্যবহার করাই উচিত নয় কোনো বিচারপতির (Judges Social Media Use)। সুপ্রিম কোর্টে চলা একটি মামলায় এমনই মন্তব্য করে জানালো সুপ্রিম কোর্ট। যে কোনো বিচারপতির জীবন হওয়া উচিত একেবারে সন্ন্যাসীদের মতো, এমনই মনে করে সুপ্রিম কোর্ট।
কেন এই মন্তব্য (Judges Social Media Use)
মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টের দুই মহিলা বিচারপতিকে তাদের পদ থেকে বরখাস্ত করার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে শুনানি চলছিল (Judges Social Media Use)। সেই শুনানির সময় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও আর এক বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ ওই দুই বিচারপতির উদ্দেশ্যে এমন মন্তব্য করেন। মধ্যপ্রদেশের হাইকোর্টের বিচারপতি সরিতা চৌধুরী ও বিচারপতি অদিতিকুমার শর্মাকে বরখাস্ত করা হয়েছিল। তাদের মামলা নিয়ে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন ও আর এক বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের ডিভিশন বেঞ্চ এই মন্তব্য করে।
সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য (Judges Social Media Use)
বিচারপতিদের বরখাস্ত সংক্রান্ত মামলায় সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্ন এবং বিচারপতি এন কোটিশ্বর সিংহের বেঞ্চ মন্তব্য করে জানায়, সমাজমাধ্যম একটি খোলামেলা জায়গা (Judges Social Media Use)। বিচারপতিদের সন্ন্যাসীর মতো জীবন যাপন করতে হবে, আর কাজ করতে হবে ঘোড়ার মতো। বিচারক এবং বিচারপতিদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়, একদমই তাঁদের ফেসবুকে যাওয়া উচিত নয়।
আরও পড়ুন: Mitali Express: ১৭ জুলাই থেকে ঢাকায় আটকে, পাঁচ মাস পর দেশে ফিরল ‘মিতালী’
কেন বরখাস্ত বিচারপতি
২০২৩ সালে ১১ নভেম্বর মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট ছ’জন মহিলা বিচারপতিকে বরখাস্ত করেছিল সমাজ মাধ্যমে একটি পোস্ট নিয়ে। তবে এবছর ১ আগস্ট সেই বরখাস্ত ছয় বিচারপতির মধ্যে থেকে চার জন বিচারপতিকে আবারও বিচারপতি পদে ফিরিয়ে আনে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট। ছয় জনের মধ্যে চারজনকে ফিরিয়ে আনলেও বাকি দুই জনকে আর ফিরিয়ে আনেনি আদালত। এরপর সেই দুই জন বিচারপতিই হাইকোর্টের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যায় সুপ্রিম কোর্টে।
সুপ্রিম কোর্ট জানায়
সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতিদের এই মামলায় জানায়, যেকোনো বিচারপতির সোশ্যাল মিডিয়াতে মতামত প্রকাশ করা উচিত নয়, বিচারপতিদের মৌখিক পর্যবেক্ষণ আদালতের মধ্যেই। যদি তা আদালতের বাইরে যায় তাহলে বিচারপতিদের নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে পারে। যে সব মামলার রায় এখনও জানানো হয়নি সেই মামলা নিয়ে সমাজ মাধ্যমে বিচারপতি পোস্ট করলে সেই মামলার রায়ের বিষয়ে সাধারন মানুষ আগেই ইঙ্গিত পেয়ে যেতে পারে। যা বিচার ব্যবস্থার নিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারে। এমনকি বিচারপতিদের জিবন সন্ন্যাসীদের মতো রাখার উচিত বলেও পর্যবেক্ষণে জানায় সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
হাইকোর্টের অভিযোগ
মামলা চলা বিচারপতি অদিতি শর্মাকে নিয়ে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্ট জানায় ২০১৯ সালের পর থেকে তিনি ঠিক মতো কাজ করেননি। এমনকি তার কাছে মামলা নিষ্পত্তির হারও কমে গেছে। এই বিষয়ে বিচারপতি অদিতি শর্মা সুপ্রিমকোর্টে জানিয়েছেন, বেশ কিছু ব্যক্তিগত সমস্যা তার কাজে প্রভাব ফেলে ছিল।