Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: রাজ্যে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির (Supreme Court on SSC) মামলায় সাময়িক স্বস্তি পেলেন হাজার হাজার চাকরিহারা শিক্ষক-শিক্ষিকা। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিল, যাঁরা ‘দাগি’ নন, অর্থাৎ যাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অযোগ্যতার প্রমাণ মেলেনি, তাঁরা আপাতত স্কুলে পড়াতে পারবেন। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকার ও স্কুল সার্ভিস কমিশনকে আগামী ৩১ মে-র মধ্যে নতুন নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পুরো নিয়োগপ্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৩১ ডিসেম্বর ২০২৫-র মধ্যে।
স্কুলে পাঠানোর অনুমতি! (Supreme Court on SSC)
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খন্নার বেঞ্চে এই মামলার (Supreme Court on SSC) শুনানি হয়। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ আদালতে জানায়, ২৬ হাজারেরও বেশি চাকরি বাতিল হওয়ায় রাজ্যের শিক্ষাব্যবস্থায় মারাত্মক প্রভাব পড়বে। বহু স্কুলে শিক্ষক না থাকায় পড়াশোনা ব্যাহত হবে। সেই প্রেক্ষিতেই, যাঁরা অযোগ্য বা দুর্নীতিগ্রস্ত হিসাবে চিহ্নিত হননি, তাঁদের চলতি শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত স্কুলে পাঠানোর অনুমতি চাওয়া হয়।
শীর্ষ আদালত সেই আর্জিতে সাড়া দিয়ে স্পষ্ট জানিয়ে দেয়,
- নবম-দশম এবং একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণিতে যাঁরা ‘দাগি’ নন, তাঁরা শিক্ষকতা (Supreme Court on SSC) চালিয়ে যেতে পারবেন।
- গ্রুপ C ও গ্রুপ D কর্মীরা, ‘দাগি’ বা ‘অদাগি’ যা-ই হোন, স্কুলে ফিরতে পারবেন না, কারণ এই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে।
- ৩১ মে-র মধ্যে রাজ্যকে চারটি বিজ্ঞপ্তি দিতে হবে — নবম-দশম, একাদশ-দ্বাদশ, গ্রুপ C এবং গ্রুপ D পদে আলাদা আলাদা নিয়োগের জন্য।
- এই বিজ্ঞপ্তির কপি এবং হলফনামা আদালতে জমা দিতে হবে।
- নতুন নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে হবে ডিসেম্বরের মধ্যেই।
সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
এ নিয়ে আগেও সুপ্রিম কোর্ট এক ঐতিহাসিক রায়ে ২০১৬ সালের SSC প্যানেল সম্পূর্ণ বাতিল করেছিল। এর ফলে ২৫,৭৩৫ জনের চাকরি বাতিল হয়। আদালতের নির্দেশে অনেককে বেতনও ফেরত দিতে বলা হয়।
আবেদন জানায় পর্ষদ
পর্ষদ জানিয়েছে, রাজ্যের ৯,৪৮৭টি উচ্চ বিদ্যালয় এবং ৬,৯৫২টি উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক সঙ্কট দেখা দিতে পারে এই রায়ের জেরে। সেই কারণেই যারা কোনও দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত নন, তাঁদের শিক্ষকতা চালিয়ে যেতে দেওয়ার আবেদন জানায় পর্ষদ।
আরও পড়ুন: Train Cancelled: আবারও ট্রেন বাতিলের ঘোষণা, ব্যান্ডেল-কাটোয়া রুটে দুর্ভোগে নিত্যযাত্রীরা!
এ দিনের রায় সেই আবেদনকে মান্যতা দিয়ে অস্থায়ী স্বস্তি দিল চাকরি হারানোদের একাংশকে। তবে কড়া নজরে রাখা হচ্ছে যে নিয়োগপ্রক্রিয়া যথাসময়ে সম্পূর্ণ হয় কি না। শেষ পর্যন্ত বছর শেষে নতুন চাকরি না হলে, আবারও আদালতের দ্বারস্থ হতেই হতে পারে হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থীকে।