Last Updated on [modified_date_only] by Sumana Bera
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সুপ্রিম কোর্টে শেষ হল ডিএ মামলার (DA Case) শুনানি। তবে রায়দান স্থগিত রেখেছেন বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি প্রশান্ত কুমারের বেঞ্চ। কোনও পক্ষের কোনও বক্তব্য থাকলে তা লিখিত আকারে জমা দিতেও নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত।
কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয় রাজ্যের! (DA Case)
এর আগেও সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যকে বকেয়া ডিএ-এর ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। তার জন্য রাজ্যকে ছয় সপ্তাহ সময় দিয়েছিল আদালত। কিন্তু রাজ্য সরকার আরও সময় চায়। কারণ রাজ্যের যুক্তি, এই পরিমাণ ডিএ (DA Case) দিতে যে অর্থের প্রয়োজন, তা রাজ্যের কোষাগারে নেই। আর্থিক সঙ্কট রয়েছে। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের বাজেটে বকেয়া ডিএ সংক্রান্ত কোনও বরাদ্দ ছিল না। তাই সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ পুনর্বিবেচনার আর্জি জানায় রাজ্য। সুপ্রিম কোর্টে রাজ্য দাবি করে, মহার্ঘ্য ভাতা রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য বাধ্যতামূলক নয়। ডিএ কর্মীদের মৌলিক অধিকার না। কেন্দ্র ও রাজ্যের আর্থিক পরিকাঠামো ভিন্ন। কেন্দ্র যে হারে ডিএ দেয় তার সঙ্গে রাজ্যের তুলনা চলে না। এই কেন্দ্রের হারে ডিএ দেওয়া সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন:Kunal Ghosh: কুণাল ঘোষের বিদেশযাত্রায় শর্তসাপেক্ষে অনুমতি কলকাতা হাইকোর্টের
তারপরে গত আগস্ট মাসের শুরুর দিকে একাধিকবার শুনানি হওয়ার পর রাজ্যের আইনজীবী কপিল সিব্বলের ব্যস্ততার জন্য শুনানি পিছিয়ে যায়।
যদিও মামলা কারী রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আদালতে দাবি করেন, নির্দিষ্ট সময় মতো কর্মচারীদের ডিএ দেওয়া সরকারি নীতির মধ্যে পড়ে। এমনকি মামলাকারীরা বকেয়া ডিএ (DA Case) কিস্তিতে মেটানোর দাবিও জানায় সুপ্রিমকোর্টে। দীর্ঘদিন ধরে চলা এই ডিএ মামলার শুনানি অবশেষে সোমবার শেষ হল।
আরও পড়ুন:Narendra Modi : ছাব্বিশের আগে বঙ্গে মোদির ম্যারাথন সভা, মোদি ম্যাজিকে হাল ফিরবে পদ্মের ?
তবে রায়গঞ্জ স্থগিত রেখেছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিরা। দেশের শীর্ষ আদালত ডিএ (DA Case) নিয়ে কী নির্দেশ দেয় সেই দিকেই এখন তাকিয়ে রাজ্য সরকার থেকে শুরু করে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা। শারদ উৎসবের আগে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কপাল খোলে, নাকি কপাল পোড়ে, সেটাই এখন দেখার।