ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুর্শিদাবাদে মৃত পিতা-পুত্রের পরিবারের সঙ্গে দেখা (Suvendu Adhikari On Murshidabad) করে তাদের অর্থসাহায্য করলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দিয়েছিল জাফরাবাদে মৃত হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের পরিবার। কিন্তু সেই পরিবারের সদস্যরাই বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অর্থ সাহায্য গ্রহণ করলেন। তাঁর দাবি, ওয়াকফ-হিংসার সময় মুর্শিদাবাদের যে বাবা-ছেলের মৃত্যু হয়েছিল, সেই দু’টি পরিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তথা রাজ্য সরকারের আর্থিক ক্ষতিপূরণ গ্রহণ না করলেও বিরোধী দলনেতার দেওয়া অর্থ সাহায্যের চেক গ্রহণ করেছে। তাই তিনি ‘কৃতজ্ঞ’!
‘প্রমাণ হয়ে গেল পরিবার কার’ (Suvendu Adhikari On Murshidabad)
হাই কোর্টের একাধিক শর্ত মেনে শনিবার মুর্শিদাবাদের জাফরাবাদে যান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari On Murshidabad)। দেখা করেন দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হওয়া বাবা-ছেলের পরিবারের সঙ্গে। সেখানে পরিবারের হাতে তিনি ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য পরিবারের হাতে তুলে দেন। সেই সাহায্য গ্রহণ করে মৃতদের পরিবার। বাড়ি থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু বলেন, “আমি পরিবারকে ১০ লক্ষ ১ হাজার টাকা করে দিয়েছি। ওঁরা গ্রহণ করেছেন। এই পরিবার নাকি সিপিএম বলেছিল। প্রমাণ হয়ে গেল পরিবার কার।” তিনি আরও বলেন, “আমি হিন্দু হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছি। পরম প্রাপ্তি।”
স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবি (Suvendu Adhikari On Murshidabad)
শুক্রবার যখন এলাকায় শুভেন্দু অধিকারী যান, তাঁর সামনেও ফের একবার এলাকায় স্থায়ী বিএসএফ ক্যাম্প তৈরির দাবি তোলা হয় স্থানীয়দের তরফে (Suvendu Adhikari On Murshidabad)। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে গ্রামবাসীকে শুভেন্দু আশ্বস্ত করেন। তিনি জানিয়েছেন, ওয়াকফ হিংসায় যাঁদের দোকান ধ্বংস হয়েছে, টোটো নষ্ট করা হয়েছে, সেইসব ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও অসংগঠিত পরিবহণকর্মীকেেও আর্থিক সাহায্য প্রদান করা হবে তাঁদের তরফে।
আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: চাকরিহারা শিক্ষাকর্মীদের মাসিক ভাতা দেবে রাজ্য সরকার, ঘোষণা মমতার
‘ওঁরা গ্রহণ করেছেন,আমি কৃতজ্ঞ’
শুক্রবার বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি রাজা বসুচৌধুরীর ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, মুর্শিদাবাদের উপদ্রুত এলাকায় যেতে পারেন শুভেন্দু। তাঁর সঙ্গে আরও দু’জন থাকতে পারবেন। তবে সেখানে কোনও জমায়েত করা এবং উস্কানিমূলক মন্তব্য করা যাবে না বলে শর্ত দেয় হাই কোর্ট। কলকাতা হাইকোর্টের কাছ থেকে শর্তসাপেক্ষে অনুমতি পাওয়ার পরই শুক্রবার মুর্শিদাবাদ যান শুভেন্দু। উপদ্রুত এলাকা ঘুরে দেখেন তিনি। কথা বলেন সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে। এর পাশাপাশি তিনি হিংসার বলি – বাবা ও ছেলে – হরগোবিন্দ দাস ও চন্দন দাসের বাড়িতেও যান। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘আমাকে ওঁরা গ্রহণ করেছেন। আমি কৃতজ্ঞ।’