ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Suvendu Adhikari) সঙ্গে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের বৈঠক ঘিরে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। এই বৈঠকের জন্য মোট ৭ হাজার ১৪৪ জন শিক্ষকের গেট পাস দেওয়া হয়েছে, কিন্তু কীভাবে এবং কারা এই যোগ্যতা নির্ধারণ করেছেন, তা নিয়ে ধোঁয়াশা কাটেনি।
বিরোধী দলনেতার মন্তব্য (Suvendu Adhikari)
বৈঠকের আবহে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যাওয়া ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের নিয়ে বড় দাবি করেছেন। তিনি মন্তব্য করেছেন, “এরা প্রকৃত মেধাবী শিক্ষক বা শিক্ষাকর্মী নন। এরা ভোট লুটের কাজে জড়িত ছিল।” তাঁর দাবি, ডায়মন্ড হারবারে টেন্টেড শিক্ষকদের মাধ্যমে ভোট করানো হয়েছিল। তিনি আরও জানান, সাত লক্ষ ভোটের বিষয়ে তিনি RTI আবেদন করেছিলেন, কিন্তু এখনও উত্তর পাননি। এবার তিনি আদালতের দ্বারস্থ হওয়ার পরিকল্পনা করছেন।
বিতর্ক চরমে (Suvendu Adhikari)
এদিকে, সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পর থেকে যোগ্য এবং অযোগ্য শিক্ষকদের সংখ্যা (Suvendu Adhikari) নিয়ে বিতর্ক চরমে পৌঁছেছে। মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের আগে থেকেই চাকরিহারাদের মধ্যে বিভাজনের ছবি স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। একদিকে চাকরি ফেরত পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন চলছে, অন্যদিকে ‘অযোগ্য’ শিক্ষকদের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে অন্য চাকরিহারারা।
আরও পড়ুন: Kolkata Metro: কলকাতা মেট্রো সুড়ঙ্গে মহড়া! আকস্মিক বিপর্যয়ে কীভাবে উদ্ধার হবে যাত্রী
রাজনৈতিক চাপানউতোর
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠকটি ছিল একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, কিন্তু এই বৈঠক ঘিরে রাজনৈতিক চাপানউতোরও বাড়ছে। বিরোধীরা বিভিন্ন প্রশ্ন তুলছে, যেমন—কীভাবে ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের নির্বাচন করা হয়েছে এবং এই তালিকা কতটুকু বিশ্বাসযোগ্য।

চাকরি নিশ্চয়তা দিতে বদ্ধপরিকর
বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেছেন, সরকার যোগ্য শিক্ষকদের চাকরি নিশ্চয়তা দিতে বদ্ধপরিকর। তিনি বলেন, “এখন সকলেই নিশ্চিন্ত থাকুন। যোগ্যদের চাকরি যাবে না।” তবে বিরোধী দলের নেতাদের এই দাবি সরকারকে চাপে ফেলতে পারে এবং শিক্ষকদের মধ্যে বিভাজন আরও বাড়াতে পারে।
রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন
অপরদিকে, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে রাজনৈতিক তর্কাতর্কির মধ্যে পড়ে রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা আরও চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। শিক্ষকতার পেশায় যারা দীর্ঘদিন ধরে কাজ করছেন, তাদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।