ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ের বৈসরণ ভ্যালিতে হামলা চালায় জঙ্গিরা(AIIMS)। সেই নৃশংস ঘটনায় মোট ২৬ জন নিহত হয়েছিলেন। আর তারপর থেকেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফুঁসছে গোটা দেশ। ঠিক এমন সময়ে দেশের এক প্রান্তে ধরা পড়েছিল অন্য ছবি।পহেলগাঁও হামলার ঠিক পরেই ঋষিকেশে এইমস-র পশ্চিমবঙ্গের একজন জুনিয়র চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মিষ্টি বিতরণ করে নারকীয় হত্যাকাণ্ড উদযাপনের অভিযোগ উঠেছিল। এবার সেই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ।
আরও পড়ুন- Massive Fire Near Charminar : হায়দরাবাদে চারমিনারের কাছে বহুতলে ভয়াবহ আগুন, মৃত্যু শিশু-সহ ১৭ জনের
ভিএইচপি-র অভিযোগ কী? (AIIMS)
ভিএইচপি-র ঋষিকেশ জেলা সভাপতি রাজেন্দ্র পাণ্ডে ওই চিকিসকের বিরুদ্ধে মানুষের ভাবাবেগে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘পহেলগাঁও হামলার পরেই এইমসের ট্রমা সেন্টারের এমার্জেন্সি রুমে নার্সিং স্টাফ এবং সহকর্মীদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করেছিলেন ওই ডাক্তার। যখন একজন কর্মী তাকে জিজ্ঞাসা করেন যে কেন তিনি মিষ্টি বিতরণ করছেন, তখন ডাক্তার বলেন যে ঈদ উপলক্ষ্যে তিনি মিষ্টি খাওয়াচ্ছেন।’ কিন্তু রাজেন্দ্র পাণ্ডের কথায়, এক মাস আগেই ঈদ উদযাপিত হয়েছে।তাই ডাক্তারের যুক্তি তাঁর যথাযত মনে হয়নি। তিনি আরও বলেন, এই বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে পদক্ষেপের দাবিতে তারা এপ্রিলের শেষে এইমস চত্বরে বিক্ষোভও করেছিলেন।এরপরেই ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি।
পুলিশে অভিযোগ দায়ের (AIIMS)
পুলিশে অভিযোগের পাশাপাশি ভিএইচপি ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আপত্তিকর পোস্টের স্ক্রিনশটও শেয়ার করেছে। এরপরই তদন্তে নেমে পুলিশ ওই চিকিৎসককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করে।ওই চিকিৎসকের বিএনএসের ১৯৬ (১)ক এবং ১৯৬ (১)খ ধারায় মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। এসএসপি অজয় সিং বলেছেন, বিষয়টির গুরুত্ব বিবেচনা করে, পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে একটি মামলা দায়ের করেছে। তদন্ত চলছে। অন্যদিকে এইমস জানিয়েছে, পুলিশ তার কাজ করছে।
অভিযুক্ত জুনিয়র চিকিৎসকের প্রতিক্রিয়া (AIIMS)
জানা গেছে, অভিযুক্ত চিকিৎসক পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।সম্প্রতি সিনিয়রদের পরামর্শে তিনি বাড়ি ফিরে এসেছেন।তবে তিনি সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ওই চিকিৎসক জানান, ‘পহেলগাঁও হত্যাকাণ্ডের উদযাপনে আমার বিরুদ্ধে আনা মিষ্টি বিতরণের অভিযোগ কেবল ভিত্তিহীনই নয় বরং অত্যন্ত বেদনাদায়ক। আমি ৮ এপ্রিল আমার পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করে হাসপাতালে ফিরে আসি। ২৩ এপ্রিল, জরুরি বিভাগে কাজ করার সময়, একজন নার্সিং অফিসার ঈদ মিষ্টি এবং বিরিয়ানির খাওয়ানোর অনুরোধ করেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘২৫ এপ্রিল একজন নার্সিং স্টাফ তাকে জানান যে মিষ্টি বিতরণ নিয়ে গুজব ছড়িয়ে পড়ছে। আমি তাৎক্ষণিকভাবে প্রশাসনিক কর্মকর্তা এবং অন্যান্য সিনিয়রদের বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এমনকি গুজব ছড়ানোর অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তির সঙ্গেও আমার দেখা করেছিলাম, কিন্তু তিনি তা অস্বীকার করেছিলেন। পরের দিন, পুলিশ আমাদের দুজনকেই ডেকে পাঠায় এবং সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় যে বিষয়টি সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে মিটিয়ে নেওয়া হবে।’ তিনি বলেন, পরে তিনি বাড়ি ফিরে আসেন এবং জানতে পারেন যে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চিকিসকের কথায়, ‘এই ঘটনা আমাকে প্রচণ্ড মানসিক চাপের মধ্যে ফেলেছে। আমি অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা দায়ের করার পরিকল্পনা করছি।’
আরও পড়ুন- Nishikant Dubey: ‘ওয়াইসির সঙ্গে ভারতীয় গণতন্ত্র…,’বিশ্ব দরবারে ঐক্যের বার্তা বিজেপি সাংসদের