ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: সিরিয়ার পরিস্থিতি আবারও তীব্র হয়ে উঠেছে (Syria War)। ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে বাশার আল-আসাদের সরকার পতিত হওয়ার পর থেকে দেশটি অস্থিতিশীল হয়ে পড়েছে।
আসাদ এখন কোথায়? (Syria War)
প্রায় দেড় দশকের গৃহযুদ্ধের পর (Syria War) ৮ ডিসেম্বর বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী গোষ্ঠী জইশ আল-ইজ্জার যৌথ বাহিনী দামাস্কাস দখল করে এবং আসাদ সরকারের পতন ঘটায়। এরপর একটি অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়, তবে এখনো সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। আসাদ বর্তমানে রাশিয়ায় আশ্রয় নিয়েছেন, কিন্তু তার অনুগামীরা সিরিয়ায় সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।
অনুগামীদের ‘প্রতিশোধ-হত্যা’ (Syria War)
আসাদ সরকারের পতনের পর থেকে তার অনুগামীরা ‘প্রতিশোধ-হত্যা’ (Syria War) চালাচ্ছে। সরকারি কর্মকর্তাদের টার্গেট করে হত্যা করা হচ্ছে, তবে সাধারণ নাগরিকও হামলার শিকার হচ্ছেন। গত কয়েকদিনে এই সংঘাত ব্যাপক আকার ধারণ করেছে। গত বৃহস্পতিবার থেকে পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়, যখন অন্তর্বর্তী সরকারের নিরাপত্তা বাহিনী জাবলেহ্তে অভিযান চালানোর সময় আসাদ-অনুগামীদের হামলার মুখে পড়ে। এর পর সিরিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। ব্রিটেনে অবস্থিত সিরিয়ান পর্যবেক্ষণ সংস্থা জানায়, এই দুই দিনে ৭৪৫ জন সাধারণ নাগরিক নিহত হয়েছেন। তাদের বেশিরভাগকে কাছ থেকে আঘাত করা হয়েছে, যা ‘প্রতিশোধ-হত্যা’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: USA Tariff: আগামী মাস থেকেই ‘পারস্পরিক শুল্ক’ নীতি চালু করবে আমেরিকা?
নিহত কত?
এছাড়া, ১২৫ জন সরকারি ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যও নিহত হয়েছেন। পাল্টা হামলায় অন্তত ১৪৮ জন আসাদ সমর্থকও মারা গেছেন। দেশের বিভিন্ন স্থানে বিশৃঙ্খলার কারণে সাধারণ জীবনযাত্রা থমকে গেছে। লাটাকিয়া প্রদেশের বেশিরভাগ অংশ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন এবং পানীয় জলও অনুপস্থিত। রাস্তা জুড়ে বন্দুকধারীরা ঘুরে বেড়াচ্ছে, এবং পথে চলতে চলতে পরিচয়পত্র যাচাই করে মানুষদের হত্যা করা হচ্ছে। অনেক জায়গায় মৃতদেহ পড়ে রয়েছে, যা পরিস্থিতির ভয়াবহতা প্রমাণ করে।
উদ্বেগপূর্ণ পরিস্থিতি!
এই পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, যারা সিরিয়ার নাগরিকদের উপর হামলার নিন্দা করেছে। যদিও সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার দাবি করছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে এবং আসাদ বাহিনীর হাত থেকে আরও অনেক এলাকা মুক্ত করা হয়েছে।
নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর
আসাদের সরকারের পতনের পর বিদ্রোহী গোষ্ঠীর নেতা আবু মুহাম্মদ আল-জোলানি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের ঘোষণা দেন। সেই সরকারের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পান মহম্মদ আল-বশির। জানুয়ারিতে, বিদ্রোহী নেতা আহমেদ আল-শারা প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন। সরকার জানিয়েছে, আগামী চার বছরের মধ্যে গণতান্ত্রিক নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করা হবে।