Last Updated on [modified_date_only] by Debu Das
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল : তাইওয়ান প্রণালীতে আচমকা প্রবেশ করেছে অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার দুই যুদ্ধজাহাজ (Taiwan Crisis)। শনিবার সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, কানাডার ফ্রিগেট ভিল ডি কুইবেক এবং অস্ট্রেলিয়ার গাইডেড-মিসাইল ডেস্ট্রয়ার ব্রিসবেন প্রণালীর ১৮০ কিলোমিটার দীর্ঘ অংশ অতিক্রম করেছে। এর পরই জাহাজগুলির উপর নজরদারি শুরু করেছে চিনা সেনা পিপলস লিবারেশন আর্মি (পিএলএ)।
চিনের দাবি ও তাইওয়ানের অবস্থান (Taiwan Crisis)
চিনা কমিউনিস্ট নেতৃত্ব বরাবরই তাইওয়ানকে (Taiwan) নিজেদের ভূখণ্ডের অংশ বলে দাবি করে আসছে (Taiwan Crisis)। অন্যদিকে, তাইওয়ান নিজেদের স্বাধীন সত্তা বজায় রেখে চলেছে। এ নিয়েই দীর্ঘদিন ধরেই চলছে টানাপোড়েন। বিশেষ করে ২০২২ সালে মার্কিন কংগ্রেস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির তাইওয়ান সফরের পর থেকে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে।
চিনের সামরিক চাপ (Taiwan Crisis)
পেলোসি সফরের পর থেকেই তাইওয়ানের আকাশসীমা ও জলসীমায় ধারাবাহিক অনুপ্রবেশ করছে চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ (Taiwan Crisis)। তাইওয়ানের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে চিন নিয়মিত ভাবে আকাশ ও সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে চলেছে। যদিও সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কয়েক দফা কূটনৈতিক বার্তা বিনিময় হয়েছিল, তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : China Cyber Attack : আমেরিকার উপর চিনের সাইবার হানা! ঝুঁকিতে মার্কিন নাগরিকদের তথ্য
রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট
গত বছর তাইওয়ানের সাধারণ নির্বাচনে কট্টর চিন-বিরোধী ডেমোক্র্যাটিক প্রোগ্রেসিভ পার্টি (ডিপিপি) ফের ক্ষমতায় আসার পর থেকেই নতুন করে দ্বন্দ্ব ঘনীভূত হয়েছে(Taiwan Crisis)। ফলে আন্তর্জাতিক মহলে তাইওয়ান নিয়ে অস্থিরতা বেড়েছে।
আরও পড়ুন : VinFast Debut In India : ভারতীয় বাজারে পা রাখল ভিয়েতনামের ইভি নির্মাতা “ভিনফাস্ট”
ঐতিহাসিক পটভূমি
১৯৪৯ সালে কমিউনিস্ট বিপ্লবের পর চিনে ক্ষমতায় আসেন মাও জে দঙ(Taiwan Crisis)। সে সময় গৃহযুদ্ধে পরাজিত কুয়োমিনতাং নেতা চিয়াং কাই শেক তাঁর অনুগামীদের নিয়ে আশ্রয় নেন ফরমোসা দ্বীপপুঞ্জে, যা আজকের তাইওয়ান। সেখানে গণতান্ত্রিক শাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলেন তিনি। সরকারি নাম হয় রিপাবলিক অফ চায়না (আরওসি)। কিন্তু চিন আজও তাইওয়ানকে পৃথক রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়নি।
অস্ট্রেলিয়া ও কানাডার যুদ্ধজাহাজের প্রবেশকে অনেক বিশেষজ্ঞ পশ্চিমা দেশগুলির তাইওয়ান সমর্থনের ইঙ্গিত বলেই মনে করছেন। অন্যদিকে, বেজিং একে ‘উস্কানি’ হিসাবে ব্যাখ্যা করছে। ফলে ভবিষ্যতে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে শক্তির রাজনীতিতে আরও অস্থিরতা দেখা দিতে পারে।
পেলোসি সফরের পর থেকেই তাইওয়ানের আকাশসীমা ও জলসীমায় ধারাবাহিক অনুপ্রবেশ করছে চিনা যুদ্ধবিমান ও যুদ্ধজাহাজ (Taiwan Crisis)। তাইওয়ানের অভিযোগ, গত তিন বছর ধরে চিন নিয়মিত ভাবে আকাশ ও সমুদ্রসীমা লঙ্ঘন করে চলেছে। যদিও সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনের জন্য কয়েক দফা কূটনৈতিক বার্তা বিনিময় হয়েছিল, তা সত্ত্বেও পরিস্থিতি ফের উত্তপ্ত হয়েছে।