ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্যাংরার অটল শূর রোডে (Tangra Death Case) অবস্থিত দে পরিবারের চারতলা বাড়িতে ঘটে যাওয়া নির্মম হত্যাকাণ্ডের তদন্তে একাধিক রহস্য উন্মোচিত হয়েছে। পুলিশের তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ফরেন্সিক মেডিসিন দল সহ স্থানীয় সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, বাড়ির প্রায় ২০টি সিসি ক্যামেরার মধ্যে কোনওটিই সক্রিয় ছিল না। পুলিশের ধারণা, ইচ্ছাকৃতভাবেই ক্যামেরাগুলি নিষ্ক্রিয় করে রাখা হয়েছিল।
ঘটনাস্থলে পুলিশের ময়নাতদন্ত (Tangra Death Case)
শুক্রবার ঘটনাস্থলে পৌঁছানো ফরেন্সিক (Tangra Death Case) মেডিসিন দল, তিনজন নিহতের ময়নাতদন্তের পর কিছু সন্দেহজনক বিষয় লক্ষ্য করেছে। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন দুই বধূ রোমি দে ও সুদেষ্ণা দে এবং ১৪ বছরের কিশোরী প্রিয়ম্বদা দে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, তিনজনকেই হত্যা করা হয়েছে। তবে তদন্তকারীরা নিশ্চিত হতে পারছেন না, এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে আসল উদ্দেশ্য কি ছিল।
আর্থিক কারণেই আত্মহত্যার চেষ্টা! (Tangra Death Case)
দে পরিবারের দুই ভাই প্রণয় এবং প্রসূন ইতোমধ্যে পুলিশের কাছে নিজেদের বক্তব্য রেখেছেন। তারা জানিয়েছেন, আর্থিক কারণে গলা অবধি ঋণে ডুবে ছিলেন এবং সম্প্রতি আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। তাদের বক্তব্যের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পুলিশের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তকারীদের মতে, বাড়ির সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বন্ধ থাকার কারণে ঘটনার বিস্তারিত জানার ক্ষেত্রে বড় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হচ্ছে।
আরও পড়ুন: Traumatic deaths in Tangra: একই পরিবারের ৬ জনের আত্মহত্যার চেষ্টা, বাড়িতেই মৃত ৩!
বাড়ির উল্টোদিকের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ
পুলিশ আরও জানিয়েছে, বাড়ির উল্টো দিকের একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। ফুটেজে দেখা গেছে, রাত ১২টা ৫৮ মিনিটে প্রণয় এবং প্রসূন একটি কিশোরকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন এবং গাড়িতে উঠছেন। তবে গাড়ি চালানোর পর তারা কেন দুই ঘণ্টা ঘোরাঘুরি করলেন, সেই বিষয়টি এখনও অজানা। ভোর ৩টের দিকে বাইপাসে একটি মেট্রোর পিলারে তাদের গাড়ি ধাক্কা মারলে তারা গুরুতর আহত হন।
ঘটনার পেছনে কি অন্য কারণ?
এদিকে, পুলিশের ধারণা, প্রণয় এবং প্রসূন নিজেদের আর্থিক সমস্যার কারণে হতাশ হয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে ঘটনার পেছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে কি না, সেই বিষয়েও তদন্ত চলছে। দে পরিবারের এই মর্মান্তিক ঘটনা স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি করেছে এবং সকলেই বিচার দাবি করছেন।
ঘটনার সত্যতা যাচাই
আসন্ন তদন্তে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পুনরুদ্ধারের জন্য বিশেষ প্রযুক্তিগত সহায়তার ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। তদন্তকারীরা আশা করছেন, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই হত্যাকাণ্ডের পেছনের মূল কারণ জানা যাবে এবং দোষীদের চিহ্নিত করে তাদের শাস্তি দেওয়া হবে।