ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের(Mamata Banerjee)সঙ্গে বৈঠক করলেন টাটা গোষ্ঠীর(Tata Group) চেয়ারম্যান নটরাজন চন্দ্রশেখরন(Natarajan Chandrasekaran)। বুধবার নবান্নেই এই বৈঠক হয়। হাইপ্রোফাইল এই বৈঠকের পরই জোর জল্পনা, তাহলে কি বাংলায় ফের বিনিয়োগ করতে চলেছে টাটা গোষ্ঠী?
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক টাটা কর্তার(Mamata Banerjee)
নবান্নে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারকে মুখ্যমন্ত্রী মমতার(Mamata Banerjee) উত্তরীয় পরানোর ছবি প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সর্বভারতীয় তৃণমূলের অফিশিয়াল এক্স হ্যান্ডল থেকে। লেখা হয়েছে, ‘‘শিল্পক্ষেত্রে বাংলাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে বদ্ধপরিকর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। বুধবার নবান্নে টাটা সন্স এবং টাটা গ্রুপের চেয়ারম্যান এন চন্দ্রশেখরণের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আশা করাই যায়, এই আলোচনা ভবিষ্যতের শিল্প বিনিয়োগে এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।’’ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে চন্দ্রশেখরণের বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থও ছিলেন। কিন্তু বৈঠকে টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর কী বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে, তা জানা যায়নি। মমতা বা চন্দ্রশেখরণও এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কিছু বলেননি।

আগেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে টাটা কর্তা ফোনে কথা(Mamata Banerjee)
চলতি বছর বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন চলাকালীন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে একবার টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধারের ফোনে কথা হয়েছিল। মমতা(Mamata Banerjee) নিজেই সে কথা জানিয়েছিলেন। বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনে রিলায়্যান্স, জিন্দল, আরপিএসজি-সহ দেশের প্রথম সারির শিল্পগোষ্ঠীর মুখ্য শিল্পপতিরা যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে টাটা গোষ্ঠীর প্রথম সারির কেউ ছিলেন না। পরে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘‘টাটা সন্সের এখন যিনি দায়িত্বে রয়েছেন, তাঁর সঙ্গে আমার ফোনে কথা হয়েছে। উনি জানিয়েছেন, বিশেষ কারণে উনি বিজিবিএসে আসতে পারছেন না। তবে সিইও স্তরের কর্তাদের তাঁরা পাঠিয়েছেন। টাটারা বাংলার জন্য অনেক কিছু করতে চায়।’’ সেই সময়েই মমতা জানিয়েছিলেন, টাটা গোষ্ঠীর কর্ণধার তাঁকে বলেছেন, সুযোগ পেলেই তিনি কলকাতা এসে তাঁর সঙ্গে দেখা করবেন। তার চার মাস পর বুধবার সাক্ষাৎ হল দু’জনের।

আরও পড়ুন: Weather Update: বর্ষার দাপট দক্ষিণবঙ্গজুড়ে, কয়েক দিন চলবে টানা বৃষ্টি!
বাংলায় ফিরছে কি টাটার বিনিয়োগ?
২০১৬ সালে বিপুল বিনিয়োগ নিয়ে রাজ্যে এসেছিল টাটা গোষ্ঠী। হুগলির সিঙ্গুরে তৈরি হচ্ছিল টাটা ন্যানোর কারখানা। কিন্তু সেই স্বপ্নে বাধ সাধে জমি আন্দোলন। সিঙ্গুরের ৯৯৭ একরের মধ্যে ৪০০ একর জমি কৃষিজমি বলেই দাবি করা হয়। অনিচ্ছুক চাষিদের জমি জোর করে নেওয়া হচ্ছে অভিযোগ তোলা হয়।তৎকালীন বিরোধী নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বেই সেই জমি আন্দোলন বিরাট আকার ধারণ করেছিল। ৩৪ বছরের বাম আমলের পতন হয়েছিল ওই আন্দোলনের হাত ধরে। ২০১১ সালে ক্ষমতায় আসে তৃণমূল কংগ্রেস, মুখ্যমন্ত্রী হন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনিয়োগের জন্য যেকোনো সংস্থাকে স্বাগত জানানো হবে এটা মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। রাজ্যের নিয়ম অনুসারেই বিনিয়োগ করতে হবে বিনিয়োগকারী সংস্থাকে। সিঙ্গুর পর্বের পর বুধবার ফের টাটা গোষ্ঠীর বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখা দিল।
আরও পড়ুন: Kakdwip: ছাত্র সংসদের ঘরে বসেছিল বিয়ের আসর! কাকদ্বীপ কলেজে ভাইরাল ছবি ঘিরে চাঞ্চল্য