সবুজ বনানী আর প্রাচীন হিমালয়ের অবিশ্বাস্য মেলবন্ধন, আর সঙ্গে রয়েছে পাহাড়ের রানি তিস্তা

এখানে টু–স্টার হোটেল ছাড়াও থাকবে সাইক্লিং, বোটিং এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো পরিষেবাও। পাশাপাশি ৬০ একর জমিতে গোল কোর্স তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। পাশাপাশি সরস্বতী চা–বাগান থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্ক পর্যন্ত ট্রেকিং রুট চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

শিলিগুড়ির কাছে জলপাইগুড়ি জেলায়। তিস্তার কোলে ভোরের আলো পর্যটন কেন্দ্র। গজলডোবা ব্যারেজের কাছে ভোরের আলো প্রকল্পকে জুড়তে এই ঝুলন্ত সেতু করা হচ্ছে। আরেকটি পর্যটন নিদর্শন। তিস্তা নদীর 1968 সালের ভয়াবহ বন্যায় নদীর তীরবর্তী সমতল অঞ্চলে প্রায় সব ছোট বড় জনপদ/নগর/শহর ভয়ানক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। পরবর্তী কালে অতিরিক্ত জল কে ধরে রেখে বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সেচের জন্য এই জলকে ব্যবহারের উদ্দেশে গজল ডোবা নামক স্থানে 1974 সালে গজল ডোবা ব্যারেজ তৈরি হয়.....স্থানীয় ভাবে পাওয়া 'গজাল মাছ' যা আজকে প্রায় লুপ্ত... এর নামে এই ডোবা বা জলাশয়ের নাম হয় 'গজলডোবা'.....এই অঞ্চল কে কেন্দ্র করে বিতর্কিত 'পর্যটন হাব' তৈরি হচ্ছে.....

মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে গজলডোবায় গড়ে উঠছে মেগা টুরিজম হাব। শিলিগুড়ি থেকে চল্লিশ মিনিটের রাস্তা গজলডোবা। ক্যানালের গা ঘেঁসে রাস্তা ধরে পিকনিকের আমেজ। সঙ্গে তিস্তার বোরোলির স্বাদ। রাজ্যের কয়েকশো কোটি টাকা বিনিয়োগে তৈরি হচ্ছে কটেজ-পার্ক-বোটিং সহ কত কী! বাড়বে কর্মসংস্থানও। মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের এই প্রকল্পের নাম ভোরের আলো। একদিকে পাহাড় চূড়ায় মেঘের কানাকানি। আরেকদিকে জঙ্গলে সবুজের আবডাল। বুক চিরে রাস্তার আঁক। পাশে তিস্তার বাঁক। প্রকৃতির হাতছানি গজলডোবা।

গাজলডোবায় ‘ভোরের আলো’ পর্যটন প্রকল্পের উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পটি মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্পগুলির মধ্যে অন্যতম। তিস্তার ওপরে গাজলডোবা জলাধারকে কেন্দ্র করে ২০৮ একর জমির ওপরে তৈরি হয়েছে এই প্রকল্প।

এখানে টু–স্টার হোটেল ছাড়াও থাকবে সাইক্লিং, বোটিং এবং ক্যাম্পিংয়ের মতো পরিষেবাও। পাশাপাশি ৬০ একর জমিতে গোল কোর্স তৈরি হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটনমন্ত্রী। পাশাপাশি সরস্বতী চা–বাগান থেকে বেঙ্গল সাফারি পার্ক পর্যন্ত ট্রেকিং রুট চালু করা হবে বলেও জানান তিনি।

এই প্রকল্প এলাকার মধ্যেই একটি হোটেল ম্যানেজমেন্ট কলেজ তৈরি হবে। সেই সঙ্গে হবে একটি বৃদ্ধাশ্রম একটি থানা এবং একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রও। ওদলাবাড়ি থেকে গজলডোবা পর্যন্ত নতুন রাস্তা তৈরিরও পরিকল্পনা নিয়েছেন পর্যটন দপ্তর।