Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: যে কোনও মন্দিরে প্রবেশ করলে (Temple Bell) প্রথমেই চোখে পড়ে বিশালাকৃতির ঘণ্টা। অনেকেই মন্দিরে ঢোকার সময় কিংবা বেরোনোর সময় সেটি বাজান। তবে শাস্ত্রমতে, এই ঘণ্টা বাজানোরও রয়েছে নির্দিষ্ট নিয়ম ও সময়। ভুল সময়ে বা ভুলভাবে ঘণ্টা বাজালে তা শুভ না-ও হতে পারে, এমনটাই বলা হয়েছে হিন্দু ধর্মগ্রন্থে।
ঘণ্টাধ্বনির তাৎপর্য কী? (Temple Bell)
‘স্কন্দ পুরাণ’-এ বলা হয়েছে, মন্দিরে ধ্বনিত ঘণ্টার শব্দ (Temple Bell) যখন কোনও ব্যক্তির কানে পৌঁছায়, তখন তার শত জন্মের পাপ নাশ হয়। ঘণ্টাধ্বনি কেবল পবিত্রতাই সৃষ্টি করে না, এটি মন ও পরিবেশকে শুদ্ধ করে। এই শব্দের মাধ্যমে মন্দিরে উপস্থিত নেতিবাচক শক্তির অপসারণ ঘটে এবং একজন ভক্তের মনে ইতিবাচকতা ও একাগ্রতা সঞ্চারিত হয়।
কখন বাজানো উচিত ঘণ্টা? (Temple Bell)
শাস্ত্র অনুযায়ী, মন্দিরে প্রবেশ করার সময় ঘণ্টা বাজানো অত্যন্ত (Temple Bell) শুভ। কারণ এই মুহূর্তে দেবতারা জাগ্রত হন বলে বিশ্বাস করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে যে ব্যক্তি ঘণ্টা বাজান, তাঁর শরীরে প্রবাহিত হয় পবিত্র ও ইতিবাচক শক্তি। তাই মন্দিরে ঢোকার সময় একবার বা দু’বার ঘণ্টা বাজানো নিয়ম মেনে চলা উচিত। ঘণ্টা বাজানোর সময় মনে মনে ভগবানের নাম জপ করাও শাস্ত্রসম্মত বলে বিবেচিত।

আরও পড়ুন: Kolkata Metro Rail: আবার থমকে কলকাতা মেট্রো, সপ্তাহজুড়ে একের পর এক বিভ্রাটে নাকাল যাত্রীরা
কখন ঘণ্টা বাজানো উচিত নয়?
বহু মানুষ আছেন যাঁরা মন্দির থেকে বেরোনোর সময় ঘণ্টা বাজান। কিন্তু হিন্দু শাস্ত্র বলছে, এটি ভুল প্রথা। মন্দির ত্যাগ করার সময় ঘণ্টা বাজালে সেই স্থানের পবিত্র শক্তি পূর্ণতা পায় না। অনেক সময় এমনটাও বিশ্বাস করা হয় যে, এই কাজ দেবতার অপ্রসন্নতা ডেকে আনতে পারে। অর্থাৎ, মন্দির ছাড়ার মুহূর্তে ঘণ্টা বাজানো দেবতার রুষ্টতার কারণ হতে পারে।
ঘণ্টা বাজানোর সময় খেয়াল রাখবেন
ঘণ্টা বাজানোর সময় কখনই একটানা বা জোরে বাজানো উচিত নয়। বরং শান্তভাবে, একবার বা দু’বার বাজানো শ্রেয়। মন্ত্র জপ বা ভগবানের নাম উচ্চারণ করে ঘণ্টা বাজালে তা আরও বেশি ফলপ্রসূ হয় বলে মনে করা হয়।