Last Updated on [modified_date_only] by Megha
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে নিজের অবস্থানে অনড় থাকায় কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের বিরুদ্ধে আবারও সরব হলেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কে মুরলীধরন(National Security Issues)।কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির সদস্য হওয়া সত্ত্বেও শশী থারুরকে নিয়ে সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরে তীব্র অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। আর এই ঘটনার মধ্যে দিয়ে কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি এবং শশী থারুরের মধ্যে বিরোধ আরও একবার প্রকাশ্যে এসেছে।
অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন (National Security Issues)
কে মুরলীধরন স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, যতক্ষণ না শশী থারুর তাঁর অবস্থান পরিবর্তন করছেন, ততক্ষণ তাঁকে তিরুবনন্তপুরমে দলের কোনও কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানানো হবে না(National Security Issues)। সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুরলীধরন বলেন, ‘থারুরকে আর ‘আমাদের একজন’ বলে মনে করা হচ্ছে না। যতক্ষণ না তিনি নিজের অবস্থান বদলাচ্ছেন, আমরা তাঁকে তিরুবনন্তপুরমে অনুষ্ঠিত কোনও দলীয় কর্মসূচিতে আমন্ত্রণ জানাব না।’ তিনি বলেছেন যে থারুর অবশ্যই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) সদস্য, তবে তার সাম্প্রতিক বক্তব্য এবং অবস্থান দলের অভ্যন্তরীণ ঐক্য নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে। কংগ্রেস নেতার কথায়, ‘শশী থারুর আর আমাদের মধ্যে নেই, তাই তাকে বয়কট করার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
অবস্থানে অনড় শশী থারুর (National Security Issues)
এর আগে কোচিতে এক অনুষ্ঠানে শশী থারুর বলেছিলেন,’অনেকেই আমার সমালোচনা করছেন, কারণ আমি আমাদের সশস্ত্র বাহিনী ও সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছি(National Security Issues)। দেশের ভেতরে এবং সীমান্তে সম্প্রতি যা ঘটেছে, সেই প্রেক্ষিতে আমি মনে করি, এটাই দেশের পক্ষে ঠিক সিদ্ধান্ত। তাই আমি নিজের অবস্থানে অনড় থাকব।’ তিনি আরও যোগ করেছেন যে যখন কেউ জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে অন্য দলের সঙ্গে সহযোগিতার কথা বলে, তখন তার নিজের দল এটিকে বিশ্বাসঘাতকতা বলে মনে করে, যা একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।থারুরের এমন মন্তব্যের জবাবেই সরব হন মুরলীধরন।
কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ (National Security Issues)
এর আগেও কে মুরলীধরন থারুরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছিলেন(National Security Issues)। বিশেষ করে যখন থারুর একটি মত পোষণ করেছিলেন যেখানে তাকে ইউডিএফ (ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট) থেকে কেরলের মুখ্যমন্ত্রীর মুখ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সময় মুরলীধরন বলেছিলেন যে, প্রথমে তাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে তিনি কোন দলের।এই আবহে জরুরি অবস্থার সময় শশী থারুর একটি মালায়ালাম সংবাদপত্রে ইন্দিরা গান্ধীর সমালোচনা করে নিবন্ধ লেখার পর দলের মধ্যে এই বিতর্ক আরও তীব্র হয়। মুরলীধরনও এই বিষয়ে থারুরের উপর আক্রমণ করে বলেন যে, যদি তিনি কংগ্রেসের ভেতরে অস্বস্তি বোধ করেন, তাহলে তার রাজনৈতিক পথ স্পষ্ট করা উচিত।
আরও পড়ুন-Vijay Utsav: বর্ষাকালীন অধিবেশনকে ‘অপারেশন সিঁদুর-এর বিজয়োৎসব ঘোষণা প্রধানমন্ত্রীর
কংগ্রেসে কোণঠাসা শশী থারুর (National Security Issues)
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ‘অপারেশন সিঁদুর’ এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর প্রশংসা করে খবরের শিরোনামে এসেছেন কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা শশী থারুর(National Security Issues)। এই জন্য কংগ্রেসের অন্দরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন এই বর্ষীয়ান নেতা।দলের সঙ্গে মতবিরোধের কারণে তিনি অনেকদিন ধরেই কংগ্রেসে কোণঠাসা।
