ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এই সতর্কতাটি তাৎপর্যপূর্ণ (Act of War) কারণ পাকিস্তান গত তিন রাত ধরে উত্তর ভারতের সামরিক স্থাপনা এবং বেসামরিক এলাকায় ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে আসছে।
নতুন নিরাপত্তা নীতি ঘোষণা (Act of War)
ভারত সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে পাকিস্তান থেকে আসা যেকোনো সন্ত্রাসী হামলাকে যুদ্ধ ঘোষণার সমান বিবেচনা করা হবে এবং তার উপযুক্ত জবাব দেওয়া হবে (Act of War)। এই ঘোষণা এমন সময়ে এল যখন গত তিন রাত ধরে পাকিস্তান ভারতের সামরিক ঘাঁটি ও বেসামরিক এলাকায় ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে, ভারতের শক্তিশালী আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রায় সব হামলাই প্রতিহত করেছে।
পাহালগাম হামলার প্রতিক্রিয়া (Act of War)
এই নতুন নিরাপত্তা নীতি ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পাহালগামে পাকিস্তান-সমর্থিত সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ২৬ জন পর্যটক নিহত হওয়ার ঘটনার পর ঘোষণা করা হয়েছে (Act of War)। ওই হামলার প্রতিক্রিয়ায় ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালিয়ে পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলিতে নির্ভুল ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়।
পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া ও উত্তেজনা বৃদ্ধি
ভারতের এই হামলার পর পাকিস্তান ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে ভারতের বেসামরিক এলাকায় হামলা চালিয়ে পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তোলে। ৭ মে পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতের হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত সন্ত্রাসী ঘাঁটিগুলির পক্ষে দাঁড়িয়ে তাদের রক্ষা করে, যা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সন্ত্রাসবাদীদের প্রতি সমর্থনের প্রমাণ।
আরও পড়ুন: Indian Top 5 Missiles : ভারতের যে পাঁচ অস্ত্রের ভয়ে ‘‘ত্রহি মাম’’ বলছে পাকিস্তান!
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভূমিকা
ভারতের সামরিক ও গোয়েন্দা সূত্র জানিয়েছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু অংশ, বিশেষ করে আইএসআই, সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলিকে লজিস্টিক সহায়তা, নিরাপদ আশ্রয়, প্রশিক্ষণ ও আর্থিক সহায়তা প্রদান করছে। অনেক সন্ত্রাসী ঘাঁটি পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ঘাঁটির কাছাকাছি অবস্থিত, যা তাদের সরাসরি সমর্থনের ইঙ্গিত দেয়।
সন্ত্রাসবাদকে যুদ্ধ ঘোষণার সমান বিবেচনা
ভারত সরকার জানিয়েছে, ভবিষ্যতে যেকোনো সন্ত্রাসী হামলা, যেমন বোমা বিস্ফোরণ, গুলি চালানো, বিমান ছিনতাই, সাইবার, জৈব বা রাসায়নিক হামলা, যা সরকারী ভবন, সামরিক ঘাঁটি বা প্রতিষ্ঠানকে আক্রমণ করবে, তা যুদ্ধ ঘোষণার সমান বিবেচিত হবে।
আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তানের দ্বিচারিতা উন্মোচন
ভারত শুধু সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো ধ্বংস করতেই নয়, আন্তর্জাতিক মঞ্চে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দ্বিচারিতা, যারা একদিকে নিজেদের দায়িত্বশীল হিসেবে তুলে ধরে, অন্যদিকে গোপনে সন্ত্রাসীদের সমর্থন করে, উন্মোচন করতেও সচেষ্ট।