ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পহেলগাঁওয়ে পর্যটকদের উপর হামলার (Terrorist Killed) কয়েকঘণ্টার মধ্যে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা। বারামুল্লা জেলায় সীমান্ত দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে জঙ্গিরা। দুই জঙ্গিকে নিকেশ করল ভারতীয় সেনা। বুধবার সেনার তরফে বিবৃতি দিয়ে এ কথা জানানো হয়েছে। সেনা জানিয়েছে, দুই জঙ্গির কাছ থেকে প্রচুর পরিমাণে আগ্নেয়াস্ত্র এবং কার্তুজ মিলেছে।
হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক (Terrorist Killed)
পহেলগাঁওয়ে মঙ্গলবার দুপুরের জঙ্গি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন ২৬ জন পর্যটক (Terrorist Killed)। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের তিন বাসিন্দা। আহত আরও অনেকে। মঙ্গলবার রাতেই হামলার দায় স্বীকার করেছে পাক জঙ্গিগোষ্ঠী লশকর-ই-ত্যায়বার ছায়া সংগঠন ‘দ্য রেজিস্ট্যান্স ফ্রন্ট’ (টিআরএফ)। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার সকালে তিনি পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলায় নিহতদের শেষ শ্রদ্ধাও জানান। কথা বলেন তাঁদের পরিজনদের সঙ্গে। জরুরি পরিস্থিতিতে উপত্যকায় পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী দল এনআইএ।
৫ থেকে ৬ জন জঙ্গি এই হামলায় জড়িত (Terrorist Killed)
গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, হামলার মূল চক্রী লস্কর নেতা সইফুল্লাহ কাসুরি ও তার দুই পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীর (PoK)-ভিত্তিক সঙ্গী (Terrorist Killed)। হামলার কয়েকদিন আগেই তারা উপত্যকায় ঢোকে বলে মনে করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জানাচ্ছেন, ৫ থেকে ৬ জন জঙ্গি এই হামলায় জড়িত। সামনে এসেছে স্কেচ। হামলায় ষড়যন্ত্রকারীরা ছাড় পাবে না বলে কড়া বার্তা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছে
ওই হামলার কয়েকঘণ্টার মধ্যেই বারামুল্লা জেলায় সীমান্ত দিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। এক্স হ্যান্ডলে চিনার কর্পসের তরফে জানানো হয়েছে, “বারামুল্লার উরি নালা সীমান্ত দিয়ে ২-৩ জন জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। সীমান্তে মোতায়েন জওয়ানরা তাদের গতিবিধি লক্ষ্য করেই জবাব দেয়। ২ পক্ষের গুলির লড়াই শুরু হয়।” প্রায় ঘণ্টাখানেকের গুলির লড়াইয়ে দুই জঙ্গি নিকেশ হয়েছে বলে চিনার কর্পসের তরফে জানানো হয়।
বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ
নিহত জঙ্গিদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়েছে। আরও কোনও জঙ্গি সেখানে রয়েছে কি না, তা দেখতে তল্লাশি শুরু হয়েছে। পহেলগাঁওয়ে হামলার পর বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল বলে মনে করা হচ্ছে। সেনার তরফে অবশ্য স্পষ্ট করা হয়েছে, সীমান্তে সবসময় সতর্ক থাকেন জওয়ানরা।