ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে ফোনালাপ ফাঁস হতেই পদত্যাগের চাপে পড়েছেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা(Thailand)। এই মুহূর্তে তাঁর জোট সরকার পতনের সম্মুখীন হয়েছে।ইতিমধ্যে সিনাওয়াত্রার নেতৃত্বাধীন সরকারের অন্যতম প্রধান শরিক দল রক্ষণশীল ভুমজাইথাই পার্টি জোট থেকে বেরিয়ে গিয়েছে।আর তারপর থেকেই থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ অথবা নির্বাচন ঘোষণার দাবিও জোরালো হচ্ছে। যার জেরে থাইল্যান্ড নতুন করে রাজনৈতিক অস্থিরতায় পড়েছে।
বিপাকে থাই প্রধানমন্ত্রী (Thailand)
চাপের মুখে পড়ে সেনাপ্রধান ও নিজের পেউ থাই দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত হয়ে দেশবাসীর কাছে ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা(Thailand)। সাংবাদিক সম্মেলনে সিনাওয়াত্রা বলেন, ‘কম্বোডিয়ার এক নেতার সঙ্গে আমার কথোপকথনের অডিও ফাঁস জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এর জন্য আমি দুঃখ প্রকাশ করছি।’ ফাঁস হওয়া ফোনালাপে তাঁকে কম্বোডিয়ার প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী হুন সেনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সীমান্ত বিরোধ নিয়ে আলোচনা করতে শোনা গিয়েছেন।

ফোনালাপ ফাঁস (Thailand)
২০২৩ সালে পদ ছাড়লেও হুন সেন এখনও সে দেশের রাজনীতিতে অত্যন্ত প্রভাবশালী(Thailand)। ফোনে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী হুন সেনকে ‘আঙ্কেল’ বলে সম্বোধন করেন এবং থাইল্যান্ডের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সেনা কমান্ডারকে নিজের ‘প্রতিপক্ষ’ বলে উল্লেখ করেন। আর এই অডিও ফাঁস হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র সমালোচনার ঝড় ওঠে।অন্যদিকে, ভুমজাইথাই পার্টির ৬৯ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন হারানোর ফলে সিনাওয়াত্রাকে পক্ষে পার্লামেন্টে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ধরে রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে। এর ফলে ২০২৩ সালের মে মাসের নির্বাচনের মাত্র দুই বছর পরই থাইল্যান্ডে আবারও আগাম নির্বাচনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
আরও পড়ুন-Air India: মাঝ আকাশে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমানে পাখির ধাক্কা; বাতিল যাত্রা
সংকটে থাইল্যান্ডের সরকার (Thailand)
বৃহস্পতিবার সিনাওয়াত্রার দুই বাকি জোটসঙ্গী—ইউনাইটেড থাই নেশন ও ডেমোক্র্যাট পার্টির পরিস্থিতি পর্যালোচনার জন্য আলাদাভাবে বৈঠক করেছে(Thailand)। থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী আশা করছেন, তাঁর প্রকাশ্য ক্ষমাপ্রার্থনা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে ঐক্য প্রদর্শনের মাধ্যমে হয়তো এই দলগুলোকে জোটে রাখা যাবে।তবে এই দুই দলের যে কোনও একটি জোট ছাড়লেই ক্ষমতাসীন সরকার পতনের মুখে পড়বে। ফলে হয় আগাম নির্বাচন না হয় নতুন করে জোট গঠনের রাজনৈতিক উদ্যোগ শুরু হতে পারে।

আরও পড়ুন-Meghalaya: মেঘালয়কাণ্ডে নয়া মোড়! ট্রাভেল ব্লগারের খোঁজে ইনস্টাগ্রামকে চিঠি
সর্বকনিষ্ঠ প্রধানমন্ত্রী (Thailand)
মাত্র ৩৭ বছর বয়সেই থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হলেন পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা(Thailand)। তিনিই এখনও পর্যন্ত সে দেশের সর্বকনিষ্ঠ ও দ্বিতীয় মহিলা প্রধানমন্ত্রী। গত বছর থাইল্যান্ডের পার্লামেন্টে ভোটাভুটির মাধ্যমে সিনাওয়াত্রাকে বেছে নেন আইনপ্রণেতারা।তাঁর বাবা থাকসিন সিনাওয়াত্রা শুধু ধনকুবেরই নন থাইল্যান্ডের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীও। বাবার পথ অনুসরণ করেই রাজনীতির ময়দানে নাম লেখান সিনাওয়াত্রা। গত কয়েক দশক ধরে সে দেশের রাজনীতিতে বিরাজ করছে সিনাওয়াত্রারা। সিনাওয়াত্রার কাকীমা ইংলাকও রাজনীতিতে বিখ্যাত নাম। তিনিই থাইল্যান্ডের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী ছিলেন।৩৭ বছরের সিনাওয়াত্রা ফেউ থাই পার্টির নেত্রী। গত বেশ কয়েকদিন ধরে থাইল্যান্ডের সরকারের ডামাডোল চলছিল।
