ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: বেশি ঘুম হলেও সমস্যা আবার না হলেও সমস্যা (Sleep)। মানব শরীরে নানান শারীরিক ও মানসিক চাপ সৃষ্টি করে। আপনি রাতে পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাচ্ছেন তো নাকি রাতে ফোন কিংবা সিনেমায় মগ্ন থাকছেন।
প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুমোনো জরুরি। পরিমাণের চেয়ে কম ঘুম মারণ রোগ ডেকে আনতে পারে। তেমনটাই জানাচ্ছে সাম্প্রতিক গবেষকগণ। গবেষণায় উঠে এসেছে, টানা ৩ দিন যদি কেউ ৪ বা তার কম সময় ঘুমোন, তা হলে শরীরে এমন কিছু পরিবর্তন হয় যা জটিল রোগের পথ প্রশস্ত করে দিতে পারে। শুধু বয়স্ক নয়, কমবয়সিরাও আক্রান্ত হতে পারেন নানা রোগে।
ঘুম হলে সমস্যা না হলেও সমস্যা (Sleep)
ব্যস্ততম জীবনে ঘুম কম হওয়ার সমস্যা সকলেরই (Sleep)। অফিস থেকে ফিরেও রাতজেগে কাজ করেন অনেকে। আবার সিনেমা-সিরিজ দেখতে গিয়েও ঘুম কম হয়। আবার সকাল হতেই অফিস যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়। সব মিলিয়ে রাতে পর্যাপ্ত ঘুম একেবারেই কম হয়। কিন্তু কম ঘুম হওয়াটা অভ্যাসে পরিণত হলে, তখনই মুশকিল গবেষণা জানাচ্ছে, পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে হৃদরোগের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।

সমস্যার লক্ষণ (Sleep)
টানা তিন দিন রাতে ৪ ঘণ্টা বা তার কম ঘুমোলে রক্তে এক ধরনের প্রদাহ ঘটানো প্রোটিনের জন্ম হয়। ওই প্রোটিন শরীরে তখন তৈরি হয়, যখন কেউ মানসিক চাপে থাকে কিংবা দীর্ঘ দিন শরীর অসুস্থ হয়ে পড়ে। ওই প্রোটিন দীর্ঘ দিন রক্তে থাকলে তা ধমনীর ক্ষতি করে এবং হার্টফেল, হার্টের অসুখ এবং অনিয়মিত হৃদস্পন্দনের মতো সমস্যা তৈরি করে।
গবেষকরা ১৬জন সুস্থ এবং কমবয়সি পুরুষকে গবেষণাগারে রেখে একটি সমীক্ষা চালান। অংশগ্রহণকারীদের প্রত্যেকের সারা দিনের খাওয়াদাওয়া থেকে শুরু করে শরীরচর্চা, কাজকর্ম এমনকী গায়ে সূর্যের গায়ে আলো লাগানোর সময়ও ঠিক করা হয় স্বাস্থ্যকর নিয়ম মেনে। শুধু ঘুমের সময় বদলে দেওয়া হয়। কখনও টানা ৩ দিন অংশগ্রহণকারীদের ৮ ঘণ্টা করে ঘুমোতে দেওয়া হয়। আবার কখনও টানা ৩ দিন সওয়া ৪ ঘণ্টা ঘুমোনোর পরেই ডেকে দেওয়া হয়। এর পরেই রক্ত পরীক্ষা করানো হয়। শরীরচর্চা করলে শরীরের স্বাস্থ্যকর প্রোটিনের মাত্রা বাড়ে। যা মস্তিষ্ক এবং হার্টের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। কিন্তু পরীক্ষায় দেখা যায়, যাঁরা কম ঘুমিয়েছেন, তাঁরা শরীরচর্চা করলেও সেই প্রোটিনের মাত্রা বাড়ছে না।