ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এক সময়ের গৌরবময় টলিউড আজ নিজের ছায়া মাত্র (Democracy in Tollywood)। টলিউডের শিল্পীদের আক্ষেপ – এককালে যেখানে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ছিল ভারতীয় সিনেমার অগ্রদূত, সেখানে এখন কাজ নেই, সম্মান নেই, ভবিষ্যৎ নেই— রয়ে গেছে শুধু ‘মাফিয়ারাজ’ আর ভয়।
প্রভাবশালী গোষ্ঠী (Democracy in Tollywood)
অভিযোগ, টলিউডে গড়ে উঠেছে এক প্রভাবশালী গোষ্ঠী, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস (Democracy in Tollywood)। তাঁর অনুমতি ছাড়া কোনও বড় প্রজেক্ট শুরু করা যাচ্ছে না, শ্যুটিং চলাকালীন তাঁর ফোন এলে কাজ বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। কেউ প্রশ্ন তুললেই তাঁর নাম উঠে যাচ্ছে ‘ব্যান লিস্ট’-এ।
সদস্য হতে হবে ইউনিয়নের (Democracy in Tollywood)
ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পেতে হলেও নির্দিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য হতে হয়— লাগে মোটা অঙ্কের টাকা। কাজ পেলেও দিতে হয় কাটমানি (Democracy in Tollywood)। পরিচালকদের বাধ্য করা হচ্ছে নির্দিষ্ট টেকনিশিয়ানদের নিয়োগ করতে, যার ফলে ব্যয় বাড়ছে, লোকসানের মুখ দেখছেন প্রযোজকেরা। এই দমননীতি, দাদাগিরি, আর অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণের জাঁতাকলে পড়ে কাজের সুযোগ কমে যাচ্ছে। ফলে অনেকেই এড়িয়ে যাচ্ছেন টলিউডকে।
আরও পড়ুন: SSC 2016 : এসএসসি নতুন নিয়োগে সুযোগ দেওয়া হয়নি, হাইকোর্টের দ্বারস্থ স্পেশাল বি.এড প্রার্থীরা!
কী বললেন শ্রীলেখা?
ট্রাইব টিভি বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে টলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র জানিয়েছেন, “এটা থ্রেট কালচার চলছে। টেকনিশিয়ানরা কাজ করতে চান। কিন্তু টেকনিশিয়ানদের টিকিটা ধরা আছে ফেডারেশনে। একজন টেকনিশিয়ান যিনি প্রতিদিন হিসেবে টাকা পান, তাকে যদি ছমাসের জন্য সাসপেন্ড করে দেওয়া হয়। তার সংসারটা চলবে কি করে? একটা আতঙ্কের মধ্যে রয়েছেন টেকনিশিয়ানরা। এছাড়াও কাজ পেতে হলে একটা ইউনিয়নের সদস্য হতেই হবে। কার্ড পাওয়াটাও খুব বড় বিষয়”।
আরও পড়ুন: Metro Services: পার্পেল লাইনে বাড়ল পরিষেবা, জোকা-মাঝেরহাট রুটে ২১ মিনিট অন্তর মিলবে মেট্রো
কাটমানি নেয়
তিনি আরও বলেন, “এখানে তো এরা কাটমানি নেয়। এক ধরনের ত্রাস লোকের মনে কাজ করছে। তুমি আমায় দেখছো না কিন্তু মাথার উপর ছড়িটা ঘুরিয়ে যাচ্ছ। স্বরূপ বিশ্বাস ভদ্রলোক উনি কে? ওনার এই ইন্ডাস্ট্রিতে মাথা হওয়ার যোগ্যতাটা কোথা থেকে এসেছে? এখানে গণতন্ত্র বলে কিছু নেই। টেকনিশিয়ানদের অনেক অভিযোগ, অনেক সমস্যা রয়েছে। তাদেরকেও কিন্তু কাটমানি দিতে হয়। আগে এই জিনিস ছিল না। এরা এত প্রবলেম করে যে বাইরের লোকজন কাজ করতে ভয় পায়। সবার মনে একটা ভয় কাজ করছে যে আমি যদি বিরোধিতা করি তাহলে আমার কাজটা চলে যাবে।”