ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মিচেল স্যান্টনার তিলক ভার্মাকে ক্রস করার সময় তার (Tilak Varma) পিঠে হাত রাখেন। সম্ভবত, স্যান্টনার তার এমআই সতীর্থকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন।
ফর্মে থাকা সত্ত্বেও বসতে হল ডাগআউটে (Tilak Varma)
আপনি যদি তিলক বর্মা (Tilak Varma) হন, তাহলে হতাশা বা মনখারাপ করাটা একেবারেই স্বাভাবিক। রাগ হলে কেউ দোষ দেবে না। মুম্বই ইন্ডিয়ান্স এমন একটা দল যাদের ব্যাটিং লাইনআপে রয়েছেন রোহিত শর্মা, সূর্যকুমার যাদব, হার্দিক পাণ্ডিয়ার মতো তারকা। কিন্তু তিলক ইতিমধ্যেই এই লাইনআপে নিজের জায়গা করে নিয়েছেন।
৪২টি আইপিএল ম্যাচে তিলকের (Tilak Varma) রান ১২৫১, স্ট্রাইক রেট ১৪৩.১৪। ভারতের হয়ে ২৫টি ম্যাচে করেছেন ৭৪৯ রান, গড় প্রায় ৫০, স্ট্রাইক রেট ১৫৫-এর বেশি। আইসিসি টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ে এখন চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি। এই পরিসংখ্যান মাথায় রেখে, তিলককে ‘রিটায়ার’ করার সিদ্ধান্তে অবাক হয়েছেন অনেকেই। কারণ, লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে তিলক কিছুটা ধুঁকলেও, ম্যাচের ওই পরিস্থিতিতে তাঁকেই শেষ পর্যন্ত খেলতে দেওয়া উচিত ছিল বলে অনেকের মত।
২৩ বলে ২টি বাউন্ডারি, তারপর রিটায়ার (Tilak Varma)
লখনউয়ের বিরুদ্ধে ম্যাচে তিলক (Tilak Varma) ২৩ বলে মাত্র ২টি বাউন্ডারি মারতে পারেন। তখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জয়ের জন্য প্রয়োজন ৭ বলে ২৪ রান। ঠিক সেই মুহূর্তেই তিলককে রিটায়ার করানোর সিদ্ধান্ত নেয় টিম ম্যানেজমেন্ট। এমন ঘটনা আইপিএলের ইতিহাসে মাত্র চতুর্থবার ঘটল।
আরও পড়ুন: Rohit Sharma Leaked Chat: রোহিত শর্মার লিক হওয়া চ্যাট ঘিরে বিতর্ক
তিলকের জায়গায় নামানো হয় নিউজিল্যান্ডের অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনারকে, যার আইপিএল স্ট্রাইক রেট ১০৬ ও টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে মাত্র ২৯টি ছক্কা রয়েছে। অথচ, শুধুমাত্র আইপিএলে তিলকের ছক্কা সংখ্যা ৬১।
স্যান্টনার ভালো ব্যাটার হলেও তিলককে সরিয়ে এমন মুহূর্তে তাঁকে নামানো কৌশলগত ভুল বলেই মনে করছেন অনেকেই। স্যান্টনার নিজেও তিলককে অভয় দেওয়ার জন্য কাঁধে হাত রেখে মাঠে নামেন।
হতাশ মুখে ডাগআউটে তিলক, পাশে বসেন সাপোর্ট স্টাফ
তিলক যখন ধীরে ধীরে মাঠ ছাড়ছিলেন, তখন তাঁর মুখে স্পষ্ট হতাশার ছাপ। ড্রেসিংরুমে না গিয়ে, তিনি সোজা বসে পড়েন ডাগআউটে। মুম্বইয়ের এক সাপোর্ট স্টাফ পাশে এসে বসে তিলকের কাঁধে হাত রাখেন। মুম্বইয়ের ডাগআউটের মুড তখনও ভারী। অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ডিয়াও শেষ ওভারে এক রান নিতে অস্বীকার করেন এবং স্যান্টনার বড় শট মারতে ব্যর্থ হন। শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ১২ রানে জিতে নেয় লখনউ সুপার জায়ান্টস।
জয়াবর্ধনের কৌশলগত সিদ্ধান্ত
ম্যাচের পর হার্দিক বলেন, “তিলক মারতে পারছিল না। এমন দিন আসেই, যখন চেষ্টা করলেও রান আসে না। ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে, বুদ্ধি করে ডিসিশন নিতে হবে, সুযোগ নিতে হবে।”
আরও পড়ুন: KKR in IPL 2025: আইপিএলে নতুন রেকর্ড গড়ল কলকাতা নাইট রাইডার্স
মুম্বইয়ের হেড কোচ মহেলা জয়াবর্ধনে জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত ছিল সম্পূর্ণ তাঁর। তিনি বলেন, “তিলক ভালো ব্যাট করছিল, সূর্যর সঙ্গে পার্টনারশিপও ছিল। কিন্তু শেষে আমি চেয়েছিলাম একজন নতুন ব্যাটার যিনি ফ্রেশ। ও চেষ্টা করছিল, কিন্তু হচ্ছিল না। এটা খুব ভালো লাগার সিদ্ধান্ত নয়, কিন্তু আমাকে নিতে হয়েছে। এটা পুরোপুরি একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত ছিল।”
তিলক বর্মাকে রিটায়ার করানোর এই সিদ্ধান্ত ঘিরে এখন মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের টিম ম্যানেজমেন্টের কৌশল ও মনোভাব নিয়ে প্রশ্ন উঠছে ক্রিকেটমহলে।