ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: চলছে প্রেমের (Tiyasha-Sohail) সপ্তাহ। প্রেমের সপ্তাহে সেলেবদের পাড়ায় প্রেম প্রেম ভাব জমে ক্ষীর। সেখানেই উঁকি দিতে কথা হল টলিপাড়ার কিউট অ্যান্ড স্মার্ট জুটি তিয়াসা লেপচা এবং সোহেল দত্তর সঙ্গে। ট্রাইব টিভির সঙ্গে খোলামেলা আড্ডায় কী জানালেন তারা?
প্রশ্ন: প্রেমের যে এতগুলো দিন, তাতে তোমরা বিশ্বাস করো? (Tiyasha-Sohail)
তিয়াসা: আমি তো বিশ্বাস করি। সোহেল আগে বিশ্বাস করতো না, এখন সোহেলও বিশ্বাস করে।
প্রশ্ন: একে অপরকে কখনও সারপ্রাইজ দিয়েছ? (Tiyasha-Sohail)
তিয়াসা: না আমি কখনও ওকে সারপ্রাইজ দিইনি, তবে ও (Tiyasha-Sohail) কালই আমাকে একটা সারপ্রাইজ পাঠিয়েছে। (একটু হেসে) আসলে আমারই সারপ্রাইজ পেতে বেশি ভালো লাগে।
আরও পড়ুন: Chhaava: ‘ছাবা’র সাফল্য কামনায় চাই ঈশ্বরের আশীর্বাদ, মন্দিরে মন্দিরে ঘুরছেন ভিকি
প্রশ্ন: কী কী গিফ্ট পাঠিয়েছে সোহেল? (Tiyasha-Sohail)
তিয়াসা: চকলেট, টেডি, কার্ড আমাকে সব (Tiyasha-Sohail) পাঠিয়েছে। (হাসতে হাসতে) আমি তো স্টোরিও পোস্টও করেছি।
প্রশ্ন: রেগে গেলে কার রাগ কে ভাঙায় আগে?
তিয়াসা: আমরা দুজনেই খুব (Tiyasha-Sohail) অল্পতে রেগে যাই। আমি রেগে গেলে আমার রাগ সোহেল খুব ভালোবেসে ভাঙায়, আবার সোহেল রেগে গেলে আমিও খুব ভালো করে ওর রাগ ভাঙাই। রেগে আমরা দুজনেই যাই।
প্রশ্ন: কে আগে সরি বলে?
তিয়াসা: না আমাদের মধ্যে কে আগে (Tiyasha-Sohail) সরি বলবে সেই নিয়ে কোনও সমস্যা হয় না। আমি ভুল করলে আমি গিয়েই সরি বলি। ওকেই তো সরি বলবো। সোহেল তো শুধু সরি না, বলে “আমি হাত জোড় করে ক্ষমা চাইছি, আমাকে ক্ষমা করে দাও।”
সোহেল: (তিয়াসাকে থামিয়ে দিয়ে) আবার উল্টোপাল্টা বলছিস!
প্রশ্ন: কোন হিরোর সঙ্গে তুমি তোমার হিরো সোহেলকে তুলনা করবে?
তিয়াসা: ঋত্বিক রোশন। অনেকেই বলে সোহেলের খুব ইগো, অ্যাটিটিউড। কিন্তু আমার এটাই ভালো লাগে। যাতে আমার সঙ্গে কথা বলার আগে কেউ ভাবে, ওর পার্টনার তো সোহেল। তাই কথা বলা তো দূর, চোখ তুলেও তাকানো যাবে না।
প্রশ্ন: এরকম পরিস্থিতি কখনও হয়েছে?
তিয়াসা: এক জায়গায় ক্রিকেট টুর্নামেন্ট ছিল। আমরা খেলতে গিয়েছিলাম একজায়গায়। আমাকে একজনের ভালো লেগেছিল। কিন্তু আমার কিন্তু তার দিকে কোনও খেয়াল ছিল না। আমার খেয়াল কিন্তু শুধু একজনের (সোহেলের) দিকে। আর তাই যখন ওই লোকটা জানতে পারলো আমি সোহেলের গার্লফ্রেন্ড তখন সে বললো, “না না তিয়াস আমার বোন।”
প্রশ্ন: ফিউচার প্ল্যানিং-এ কে এগিয়ে?
তিয়াসা: আমরা দুজনেই ভীষণ বাস্তববাদী। ভবিষ্যতের কথা ভাবতে গেলে প্র্যাক্টিকাল তো হতেই হবে। আমরা দুজনেই প্র্যাক্টিকালি খুব শর্টেড। আমার অনেককিছু ওর অপছন্দ ছিল, সেগুলো ও আমাকে বলায় আমি চেঞ্জ করেছি।
প্রশ্ন: মাঝে সোহেল-তিয়াসার দূরত্বের কারণ?
তিয়াসা: এই বাস্তবতাই কিন্তু এই ঘটনার আসল কারণ। কিন্তু পরে আমরা বুঝতে পেরেছি। সোহেল আমাকে আজ পর্যন্ত যা যা বলেছে, সেগুলো পরে হলেও আমি বুঝতে পেরেছি। মানুষের ক্ষেত্রেও সেটা। আমি তাই এখনও ওর কথা শুনেই চলি।
প্রশ্ন: সোহেল কতটা ভালো বয়ফ্রেন্ড?
তিয়াসা: ওর মধ্যে বয়ফ্রেন্ড না, বাবা-বাবা একটা ভাব আছে। আমার বাবা আমার সঙ্গে যা যা করতো, ও তাই করে। আমি শুটিং-এর সামনে একটা দোকানে গজা খেতে খুব ভালোবাসতাম। ও সেই দোকানে বলে রেখেছিল, আমি গিয়ে খেয়ে আসতাম। ও খুব স্মার্টলি বুঝিয়ে দেয় কতটা ভালোবাসে। যদি বলি চাঁদে যাবো, ও হ্যাঁ-ই বলবে। ও কখনও কিছুতে না বলে না। ও ভীষণ লজ্জা পায়। এখনও আমার চোখে চোখ রেখে ছবি তুলতে লজ্জা পায়।
প্রশ্ন: ভ্যালেন্টাইন ডে-র কোনও প্ল্যান আছে?
তিয়াসা: হ্যাঁ অবশ্যই। কলকাতাতেই একটা সারপ্রাইজ প্ল্যান করেছে সোহেল। শুটিং-এর জন্য তো বাইরে যেতে পারবে না।
প্রশ্ন: সোহেলের জন্য স্পেশাল মেসেজ কিছু?
তিয়াসা: এখনও ওরকম কিছু ভাবিনি। কী বলাই যায় বলতো। সকালবেলা ওঠা থেকেই ওকে আমি স্পেশাল মেসেজ দিতে থাকি।
সোহেল: আমাকে আর কি স্পেশাল মেসেজ দেবে। সবজায়গায় সবসময় স্পেশাল মেসেজ দেওয়া যায় না।
প্রশ্ন: এতো মেয়ে থাকতে তিয়াসাকেই কেন পছন্দ?
সোহেল: মেয়েটা বড্ড ভালো। ওকে ওর অতীতের জন্য মানুষ জাজ করে নেয়, আর ভুল বোঝে। এই সংখ্যাটাই অনেক বেশি। আমি মনে করি ওর জীবনে এখনও কেউ আসেনি যে ওকে ঠিক পথে গাইড করে নিয়ে যাবে…
(সোহেলকে থামিয়ে)
তিয়াসা: আসেনি মানে?
সোহেল: বলতে দাও আমাকে। ওকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট করবে এমন মানুষ ওর জীবনে নেই বলে, আমি এসেছি। কারণ ও আলাদা তাই। আমার যেরকম পার্সোনাল চয়েস ছিল তার থেকে আলাদা বলেই আমি ওকে বেছে নিয়েছি। আমরা এখনও খুব ভালো বন্ধু।
প্রশ্ন: তিক্ত অতীত থাকা সত্বেও তিয়াসাকে জীবনে আনার পর পরিবারের মানুষের খারাপ কথা শুনতে হয়েছে?
সোহেল: নানা সেরকম কিছু ঘটেনি। পরিবারের মানুষ আমাকে যথেষ্ট বিশ্বাস করে। তারা জানেন,আমি কোনও ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারিনা। আমার জীবনেও তো কিছু অতীত আছে নাকি। ওরটা সামনে এসেছে বলে আমরা জানতে পেরেছি, ওর থেকেও আমার ভয়ঙ্কর অতীত আছে।