ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পয়লা বৈশাখ মানেই নতুন বছর, নতুন দিন, নতুন সূচনা অর্থাৎ বাঙালির নববর্ষ। এই দিন শুধু বাংলা ক্যালেন্ডারের নতুন সূচনা নয়, বরং আবেগ, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার পরিচায়ক (Poila Boishakh)। আর এবার এই দিনকেই রাজনৈতিক কৌশলের হাতিয়ার করে তুলতে চলেছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী বছরের বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে, বিজেপির ‘হিন্দু নববর্ষ’ প্রচারের মোকাবিলায় তৃণমূল এবার রাজ্যের প্রতি প্রান্তে জাঁকজমক করে বাংলা নববর্ষ পালনের নির্দেশ দিয়েছে।
রাজ্যজুড়ে জাঁকজমকপূর্ণ নববর্ষ পালনের বার্তা তৃণমূলের (Poila Boishakh)
এ বিষয়ে একটি বিস্তারিত নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে তৃণমূলের সব স্তরের প্রতিনিধিদের কাছে। সেখানে স্পষ্ট করে বলা হয়েছে, নববর্ষের দিনে রাজ্যজুড়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, র্যালি, লোকসংগীত, রাজ্য সঙ্গীত— সবকিছু দিয়ে সাজিয়ে তুলতে হবে দিনটিকে। রাজ্য সরকারের তরফে একই দিনে পালিত হয় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’। সেই অনুষ্ঠানগুলিতেও বাঙালির ইতিহাস, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে তুলে ধরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: Kalighat Skywalk: এবার ‘আকাশপথে’ হেঁটেই মা কালীর দর্শন, উদ্বোধন কবে?
অন্যদিকে, বিজেপি ৩০ মার্চ ‘হিন্দু নববর্ষ’ পালন করে ধর্মীয় আবহ তৈরি করার চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ তৃণমূল নেতৃত্বের। তাদের দাবি, রাম নবমীকে কেন্দ্র করে গো-বলয়ের রাজনীতি আমদানি করে রাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি করছে বিজেপি। এমনকি দেড় কোটির বেশি হিন্দুকে রাস্তায় নামানোর ঘোষণা করা হয়েছে বিজেপির পক্ষ থেকে। এর জবাবে তৃণমূলের কৌশল স্পষ্ট— ধর্ম নয়, বরং ভাষা, সংস্কৃতি ও আঞ্চলিক পরিচয়কে সামনে রেখেই পালটা রাজনীতি।
আরও পড়ুন: Yogi Adityanath On Murshidabad: ‘মুসলিম জনতাকে ভুল বোঝাচ্ছেন বিরোধীরা’ মুর্শিদাবাদ প্রসঙ্গে যোগী
সাংস্কৃতিক অস্ত্রেই বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ তৃণমূলের (Poila Boishakh)
তৃণমূল সূত্রে জানানো হয়েছে, রাজ্য সঙ্গীত ‘বাংলার মাটি, বাংলার জল’ গাওয়া হবে সরকারি সমস্ত অনুষ্ঠানে। স্থানীয় শিল্পীদের অংশগ্রহণে বাঙালিয়ানার ছোঁয়া থাকবে প্রতিটি মঞ্চে। দলের এক শীর্ষ নেতা বলেন, “বাংলা নববর্ষ শুধুই একটি উৎসব নয়, এটি বাঙালির গর্ব (Poila Boishakh)। বিজেপির ধর্মীয় মেরুকরণের রাজনীতির জবাবে আমাদের অস্ত্র বাঙালির নিজস্বতা।”
এই অবস্থানে রাজনৈতিক মহল মনে করছে, বাংলা বনাম বহিরাগত এই তত্ত্ব আরও একবার নির্বাচনী ময়দানে বড় ফ্যাক্টর হতে চলেছে। বাংলা নববর্ষ আর শুধুই উৎসব নয়, তা এখন রাজনীতিরও অঙ্গ।