ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: টিনের শেড করছেন এক ব্যক্তি। আর তা বন্ধ করতে গিয়ে রীতিমতো চড়াও হয়ে ওই ব্যক্তিকে মারধর ও হুমকির অভিযোগ উঠল তৃণমূল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে। সেই মারধরের ভিডিও ভাইরাল হতেই শোরগোল। ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের গোবিন্দপুর। ওই এলাকায় নিজের জায়গায় নার্সিংহোম তৈরির জন্য বিল্ডিং নির্মাণ করেছেন পার্থসারথী নাগ নামের এক ব্যক্তি।
ওই ব্যক্তির অভিযোগ, তার নিজের রায়ত জায়গার উপর বাড়ি তৈরি হয়েছে। বাড়ির সামনে থাকা তার জায়গায় টিনের সেড তৈরি করছেন। আর এই সেড করাকে ঘিরেই যত গন্ডগোল। পার্থসারথী নাগের আরও অভিযোগ, ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ রায় তিনি আগেও একদিন এসে সেড বন্ধ রেখে দেখা করার কথা বলে গিয়েছিলেন। দেখা না করায় পুনরায় কাউন্সিলর এসে কাজ চলাকালীন কাজ বন্ধ করার কথা বলে। এর প্রতিবাদ করতেই কাউন্সিলর রীতিমতো হুমকি দেন এবং তার ভাই সিদ্ধার্থ নাগের উপর চড়াও হয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করেন।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/india-china-meeting-important-diplomatic-step/
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/police-arrested-fifteen-people-in-tab-scam-linked-case-from-chopra-areas/
ঘটনায় অসুস্থ সিদ্ধার্থ নাগকে চিকিৎসার জন্য চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এই বিষয়ে ওই জায়গার মালিক পার্থসারথী নাগ ও তার ভাই সিদ্ধার্থ নাগের দাবি, কাউন্সিলর অনৈতিক দাবি করেছিলেন। তা না মানায় ক্ষুব্ধ হয়ে তান্ডব চালায় ওই কাউন্সিলর। চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অভিজিৎ রায় চন্দ্রকোনা শহর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি পদেও রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন: https://tribetv.in/two-judges-differ-on-partha-chatterjee-bail/
শাসকদলের কাউন্সিলর ও যুব সভাপতির পদে থেকে এহেন আচরণের ভিডিও প্রকাশ্য আসতেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। যদিও এবিষয়ে অভিযুক্ত কাউন্সিলর অভিজিৎ রায় বলেন,”এলাকার মানুষের থেকে খবর পেয়ে আমি স্পটে গিয়ে ওই ব্যক্তিকে বলি কাজটা বেআইনি হচ্ছে। পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারের সঙ্গে কথা বলে নিয়ম মোতাবেক কাজটা করতে হবে। কিন্তু ওই ব্যক্তি গায়ের জোরে ড্রেন দখল করে টিন দিয়ে সেডের কাজ করছে। আমি এবং ওয়ার্ডের কিছু কর্মী সমর্থক গিয়ে কাজ বন্ধ করি। পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ারকে ডাকি তিনি ঘটনাস্থলে পৌঁছে ওই ব্যক্তিকে ইন্সট্রাকশন দেন ড্রেন থেকে তিন ফুট ছেড়ে সেড করার জন্য। গায়ের জোরে নিয়ম না মেনেই একপ্রকার কাজটা সম্পন্ন করে ফেলেছে। আর সেইজন্যই আমি উত্তেজিত হয়ে পড়ি এবং চেঁচামেচিও করেছি। এটা ঠিক। কিন্তু মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি, তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।”