ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: মেঘালয়ের রাজনৈতিক ভারসাম্যে বড়সড় রদবদল(Tmc Meghalaya)। বুধবার রাজ্যের একমাত্র কংগ্রেস বিধায়ক রনি ভি লিংডো আনুষ্ঠানিকভাবে শাসকদল এনপিপি-তে যোগ দেওয়ার কথা জানালে কার্যত রাজ্যের প্রধান বিরোধী শক্তি হয়ে উঠল তৃণমূল কংগ্রেস। স্পিকার টমাস এ সাংমাকে চিঠি দিয়ে রনি নিজের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন। যেহেতু তিনি একা দলবদল করছেন এবং সংখ্যাগরিষ্ঠ দলের সঙ্গে যাচ্ছেন, তাই তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ হবে না।
২০২৩-এর ভোটের ফলাফলের পরিপ্রেক্ষিত (Tmc Meghalaya)
২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে এনপিপি এককভাবে ২৬টি আসনে জিতলেও, ইউডিপি এবং আরও কিছু ছোট দলের সমর্থনে সরকার গঠন করে(Tmc Meghalaya)। কংগ্রেস ও তৃণমূল— উভয়েই ৫টি করে আসনে জয়ী হয়েছিল। সংখ্যাগরিষ্ঠ বিরোধী দলের শর্ত পূরণ না করায় সেসময় কোনও দলকেই ‘বিরোধী দল’ হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়নি।
পরবর্তীতে কংগ্রেসের চারজন বিধায়ক দলত্যাগ করলে রনি ভি লিংডো-ই একমাত্র কংগ্রেস সদস্য হিসেবে থাকেন। তিনি তৃণমূলের মুকুল সাংমাকে বিরোধী দলনেতা হিসেবে সমর্থন জানালে, সংসদীয় বিধি অনুযায়ী, সেই পদে তাঁর নিয়োগ সম্ভব হয়।
রনির দলবদলে ভাঙছে বিরোধী জোট (Tmc Meghalaya)
এখন রনি নিজেই এনপিপি-তে যোগ দেওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে বিরোধী দলনেতা পদ নিয়ে। মুকুল সাংমার নেতৃত্বে তৃণমূলের হাতে এখন ৫টি আসন থাকলেও, ৬ আসনের ন্যূনতম শর্ত পূরণ না করায় বিরোধী দল হিসেবে তাদের স্বীকৃতি কি টিকবে— তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই পরিস্থিতিতে বিধানসভায় বিরোধী কণ্ঠ কার্যত ক্ষীণ হয়ে পড়বে। এতে গণতান্ত্রিক কাঠামোর ভারসাম্যও প্রশ্নের মুখে পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: Nisar Satellite Launch : জিএসএলভি-মার্ক II রকেটে উৎক্ষেপণ করা হল নিসার উপগ্রহ
তৃণমূলের প্রতিক্রিয়া অনিশ্চয়তা ও প্রতীক্ষা (Tmc Meghalaya)
এই ঘটনায় তৃণমূলের রাজ্য নেতৃত্ব আপাতত মুখে কুলুপ এঁটেছে(Tmc Meghalaya)। দলের রাজ্য সভাপতি চার্লস পিনগ্রোপ ফোন বা মেসেজের কোনও উত্তর দেননি। তবে দলের রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব জানিয়েছেন, “বিষয়টি শুনেছি। মেঘালয়ের তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলার পরই এই নিয়ে মন্তব্য করব।”
আরও পড়ুন: Tsunami in US : সুনামির ছোবল আমেরিকার উপকূলে! হাওয়াই থেকে ক্যালিফোর্নিয়া পর্যন্ত সতর্কতা
শাসকদলের শক্তি আরও বৃদ্ধি, বিরোধী কণ্ঠ ক্ষীণ (Tmc Meghalaya)
মেঘালয় বিধানসভায় কংগ্রেসের অস্তিত্ব একপ্রকার বিলীন(Tmc Meghalaya)। তৃণমূল থাকলেও, তারা কি বিরোধী দল হিসেবে স্বীকৃতি পাবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এই অবস্থায় শাসক এনপিপি-র রাজনৈতিক আধিপত্য আরও সুদৃঢ় হল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আর রাজ্যের গণতান্ত্রিক কাঠামোয় শক্তিশালী বিরোধী কণ্ঠের অনুপস্থিতি যে উদ্বেগের বিষয়, তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।