ট্রাইব টিভি ডিজিটাল: মালদার কালিয়াচকে তৃণমূল কর্মীকে খুনের ঘটনায় গ্রেফতার করা হল একজনকে (TMC Worker Murder Case) । বুধবার বিকেলে যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তার নাম আমির হামজা। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে খোঁজ চলছে আরও এক জনের।
তৃণমূল কর্মী খুন, গ্রেফতার ১ (TMC Worker Murder Case)
আমির হামজাকে গ্রেফতার করে জানা গেছে কালিয়াচক কাণ্ডে (TMC Worker Murder Case) জড়িত মূল চক্রীর নাম। জাকির শেখ নামের এক ব্যক্তির খোঁজ করা হচ্ছে বর্তমানে। নজরে আছে কালিয়াচকের একটি আমবাগানও। সেখানে খোঁজ চালাচ্ছে স্থানীয় থানার পুলিশ। পুলিশের সঙ্গে রয়েছে একটি স্নিফার ডগ।
মূল চক্রীর খোঁজে পুলিশ (TMC Worker Murder Case)
পুলিশ মনে করছে আমির নয়, এই ঘটনার (TMC Worker Murder Case) মূল কারিগরই হচ্ছে জাকির শেখ। ধৃত আমির হামজা হল জাকিরের সঙ্গী। মঙ্গলবার, ঘটনাস্থলে দুজনেই উপস্থিত ছিলেন। জখম তৃণমূল নেতা বকুল শেখের ভাইয়ের মুখ থেকেও এই একই নাম শোনা গেছে। এই সব সূত্র ধরেই ক্রমাগত জাকির শেখের খোঁজ করে যাচ্ছে পুলিশ।
অভিযুক্তরা তৃণমূল কর্মী?
স্থানীয় সূত্র মারফত জানা গেছে, ধৃত আমির হামজা এবং জাকির শেখ দুজনেই নাকি স্থানীয় তৃণমূল নেতা। দুজনের সঙ্গেই নাকি তৃণমূলের বিশিষ্ট নেতাদের যোগাযোগও রয়েছে। কিন্তু, শাসকদলের তরফে এই কথা একেবারেই অস্বীকার করা হয়েছে।
কী হয়েছিল সেদিন?
কালিয়াচকের নয়াবস্তি এলাকায় সেদিন একটি অনুষ্ঠান ছিল। নিকাশি এবং রাস্তা উদ্বোধনের অনুষ্ঠানটিতেই যাচ্ছিলেন কালিয়াচক-১ ব্লকের নওদা যদুপুর এলাকার তৃণমূল অঞ্চল সভাপতি বকুল। তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের তরফে অভিযোগ করা হয় যে ওই সময়ই গুলি ছোঁড়া হয় বকুলের দিকে। তারপরই রাস্তায় পরে যান তিনি। শেখ হাসান নামে একজনকে ইঁট দিয়ে থেতলে দেবারও অভিযোগ ওঠে। জখম হন আরও অনেকে।
আরও পড়ুন: Jyotipriya Mallick: জামিন জ্যোতিপ্রিয়র, ১৪ মাস পর জেলমুক্তি
গুলি চলেনি, রিপোর্ট পুলিশের
পুলিশ জানিয়েছে সেদিন ঝামেলার সৃষ্টি হলেও গুলি মোটেই চলেনি। এই ঘটনাটি ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ তৎপরতার সঙ্গে কাজে লেগে পরে। ঝামেলা সৃষ্টির অভিযোগে ১০ জনকে আটকও করা হয়। তবুও এই হামলার ঘটনার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করতে পুলিশের ৩০ ঘন্টা সময় লেগে যায়।
আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: বয়কটে ফের ‘না’ অভিষেকের, কুণালকে কটাক্ষ?
কেন এই সংঘাত?
পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা বকুলের উপর হামলা করার ঘটনার সঙ্গে হামজারই যোগ ছিল। তৃণমূল কর্মী হাসান ওরফে আতাউর হককে খুনের সন্দেহেই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধীরা মনে করছেন, এলাকার উপর দখল নেবার জন্যই এই ঘটনার সৃষ্টি হয়েছে।