ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এখনও অধরা টলিপাড়ার (Tollywood) অন্দরের সমস্যার সমাধান। আলোচনা হলেও মিটল না সমস্যার জট। অপরদিকে ফেডারেশন একেবারেই নিরব। দেখা মিলছে না প্রযোজকদের। এভাবে কীভাবে কাজ চলবে? কেনই বা টলিপাড়ার অন্দরে বারংবার কাজ নিয়ে এত ডামাডোল? শিল্পীরা সমাধান সূত্র খুঁজছেন, কিন্তু পাচ্ছেন না। পরিচালকদের সংগঠন বিষয়টা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে। বুধবার আলোচনার পরেও ডিরেক্টরস গিল্ড এবং ফেডারেশনের মধ্যে সমাধান সূত্র মেলেনি। পরিচালক শ্রীজিৎ রায়ের (Srijit Roy) সেট তৈরির কাজে দেখা যায়নি কর্মীদের।
সবাইকে এগিয়ে আসার অনুরোধ (Tollywood)
বুধবার সন্ধ্যায় গিল্ডের সভাপতি সুব্রত সেন, সম্পাদক সুদেষ্ণা রায় সহ রাজ চক্রবর্তী, পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়, জয়দীপ মুখোপাধ্যায়, অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শ্রীজিৎ রায় সহ বিভিন্ন মাধ্যমের পরিচালকরা বৈঠকে বসেছিলেন (Tollywood)। সেই বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, ফেডারেশনের বক্তব্য শোনার জন্য সময় দেওয়া হবে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত। বৈঠক চলেছে, প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা। প্রত্যেকের গলাতেই ক্ষোভ।
কী বললেন অনির্বাণ? (Tollywood)
অনির্বাণের অনুরোধ, এটি শুধুমাত্র পরিচালক (Tollywood) কিংবা টেকনিশিয়ানদের সমস্যা নয়। এটা প্রযোজকদেরও সমস্যা। তাই তাদেরকেও এবার এগিয়ে আসতে হবে। ফেডারেশনের আচরণ দেখে মনে হচ্ছে, যেন পরিচালকরা অপ্রয়োজনীয়। একইভাবে প্রযোজক থেকে শুরু করে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে পাশে পাওয়া যাচ্ছে না। কিন্তু পরিচালকরা যে আচরণটা পাচ্ছেন তারা কি সেই আচরণের যোগ্য?

আরও পড়ুন: Junaid Khan: বাবার পরিচয় দিতে লজ্জা পান আমিরের ছেলে! তারকা সন্তানের এ কি হাল?
বছর ঘুরতেই একই সমস্যায় বিদ্ধ টলিউড (Tollywood)
প্রশ্ন উঠছে, এভাবে আর কতদিন পরিচালকরা অপেক্ষা করবেন? গতবছরের শেষেও কিন্তু একই সমস্যা তৈরি হয়েছিল। টলিপাড়ার কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করতে হবে। কিন্তু কাজ বন্ধ রাখা যাবে না। অথচ বছর ঘুরতেই, সেই আবার একই সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে উঠল। কিন্তু কেন ? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও পাওয়া যায়নি। পরিচালক সংগঠন সংঘাত নয়, বন্ধুত্বপূর্ণ সহাবস্থান চাইছে। আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজছে। এমনটাই বক্তব্য পরমব্রতর।
আরও পড়ুন: Nora Fatehi: খাদে পড়ে মারাত্মক বিপদে নোরা ফতেহি! এখন কেমন আছেন তিনি?
হতে পারে কর্মবিরতি!
আপাতত বৃহস্পতিবার দিনটা দেখা হবে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাতটা পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছে।তারপর যদি কাজ না শুরু হয়, আলোচনার পরেও যদি ফেডারেশনের তরফ থেকে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া না হয়, তাহলে পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। ব্যাক ক্যামেরার যে সমস্ত কাজ বন্ধ ছিল তা শুরু না হলে, সাতটার পর আবার মিটিং হবে। তারপরেই নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ। সেটা কর্ম বিরতিও হতে পারে। কারণ মনে করা হচ্ছে, পরিচালকদের প্রাপ্য সম্মান দেওয়া হচ্ছে না। পরিচালকরা কাজ করছেন, কিন্তু তাদেরকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে না।