ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: এক সময়ের টলিউড আজ ছায়া নিজের গৌরবের! এক সময় যেখানে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ভারতীয় সিনেমার অগ্রদূত হিসেবে সম্মান পেত (Tollywood Industry), সেখানে এখন কাজ নেই, সম্মান নেই, ভবিষ্যৎ নেই— আছে শুধু ‘মাফিয়ারাজ’ আর ‘ভয়’। শিল্পীদের অভিযোগ— ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে গড়ে উঠেছে এক ভয়ঙ্কর সিন্ডিকেট, যার নিয়ন্ত্রণে রয়েছেন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব অরূপ বিশ্বাসের ভাই স্বরূপ বিশ্বাস।
অনুমতি ছাড়া হবে না প্রোজেক্ট (Tollywood Industry)
অভিযোগ, তাঁর অনুমতি ছাড়া টলিউডে এখন কোনো বড় প্রজেক্ট শুরুই করা যাচ্ছে না (Tollywood Industry)। তাঁর ফোন এলে থেমে যাচ্ছে শুটিং, আর কেউ যদি প্রশ্ন তোলে, উঠে যাচ্ছে তাঁর নাম ‘ব্যান লিস্ট’-এ। আরও অভিযোগ নির্দিষ্ট ইউনিয়নের সদস্য না হলে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা যাবে না।
ইউনিয়ন সদস্য হতে লাগবে টাকা (Tollywood Industry)
আবার সেই ইউনিয়নের সদস্য হতে গেলেও দিতে হবে মোটা টাকা (Tollywood Industry)। কাজ পেলেও পারিশ্রমিকের টাকা থেকে দিতে হবে কাটমানি। এমনিতেই কাজের সংখ্যা কম। তার কারণ ফেডারেশনের বেঁধে দেয়া নিয়ম মেনেই কাজ করতে হচ্ছে পরিচালকদের। এমনকি ফেডারেশনের ঠিক করে দেওয়া টেকনিশিয়ানদের নিয়েই কাজ করতে হচ্ছে। ফলে সহজেই ক্ষতির মুখ দেখছেন প্রডিউসাররা।
আরও পড়ুন: Historic Kumartuli Ghat: নতুন রূপে ফিরছে ঐতিহাসিক কুমোরটুলি ঘাট, সংস্কারের দায়িত্বে আদানি গোষ্ঠী
নিঃশব্দ শোষণ
এই চুপচাপ আতঙ্ক, এই নিঃশব্দ শোষণ— টলিপাড়ার ভিতরকার বাস্তবতা। কাজ না পাওয়া শিল্পীদের হতাশা, প্রতিভাবানদের পেছনে ফেলে ‘চেনা গোষ্ঠী’দের প্রাধান্য, কাটমানি, ব্যান লিস্ট, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ— সব মিলিয়ে বাংলা সিনেমার ভবিষ্যৎ আজ অন্ধকারে।
আরও পড়ুন: IIM Joka: ফের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে তরুণীকে যৌন নিগ্রহ, কসবা আইন কলেজের পর এবার আইআইএম জোকা
কী বললেন বাবান বিশ্বাস?
১৯৮৩ সাল থেকে টলিপাড়ায় কাজ করে যাওয়া প্রবীণ ফাইট মাস্টার বাবান বিশ্বাস ট্রাইব টিভি বাংলাকে দেওয়া এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, ”তখনকার ইন্ডাস্ট্রি আর এখনকার ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে অনেক তফাৎ। কাজ নেই ,এখন খেতে পাচ্ছি না, তখন খেতে পেতাম। এটা চিটিংবাজীর জায়গা হয়ে গেছে এখন। ইন্ডাস্ট্রি শেষ। সবাই ভয়ে কাজ করছে। আমার দুই ছেলেও কাজ পায় না। কাজের মারাত্মক ক্ষতি হয়ে গেছে। যারা কাজ করছে তারা সব পার্টির লোক। আমি ভালো নেই। সবাই সবকিছু জানে কিন্তু এখানে রাজনীতি চলছে। বিরাট বড় রাজনীতি। এর কোন শেষ হবে না।”