ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: নতুন অর্থবর্ষের শুরুতেই ভারতের ট্রাফিক (Traffic Law) আইন আরও কঠোর হতে চলেছে। গাড়ি চালকদের বিশেষভাবে সতর্ক করা হয়েছে যে, যদি তারা বকেয়া ট্রাফিক চালান জমা না করেন, তবে তাদের বড় জরিমানার পাশাপাশি ড্রাইভিং লাইসেন্স বাতিলের শঙ্কা রয়েছে। নতুন নিয়ম অনুসারে, যদি আপনার নামে গত তিন মাস ধরে কোনো ই-চালান বকেয়া থাকে, তাহলে আপনার ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল হতে পারে।
আরও নিয়ম (Traffic Law)
অতিরিক্তভাবে, যদি কেউ লাল আলোর নিয়ম ভঙ্গ করে তিনবার (Traffic Law) আটক হন অথবা এক বছরের মধ্যে তিনবার দ্রুতগতিতে গাড়ি চালানোর জন্য আটক হন, তবে তারও ড্রাইভিং লাইসেন্স তিন মাসের জন্য বাতিল হবে। কেন্দ্রীয় সরকারের এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হল বকেয়া চালান আদায় বৃদ্ধি করা, যা বর্তমানে মাত্র ৪০ শতাংশ হয়েছে।
বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত (Traffic Law)
এছাড়া, যাদের গত বছরে দুটি ট্রাফিক চালান মুলতুবি রয়েছে, তাদের বিমার প্রিমিয়াম বৃদ্ধি (Traffic Law) করার সিদ্ধান্তও নিয়েছে সরকার। এই নতুন নিয়মের আওতায়, চালকদের মাসিক ভিত্তিতে সতর্কতা জানানো হবে এবং ট্রাফিক ক্যামেরার জন্য নির্দিষ্ট স্পেসিফিকেশন প্রয়োগ করা হবে। একটি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, দিল্লিতে বকেয়া চালানের রিকভারি হার সবচেয়ে কম, মাত্র ১৪ শতাংশ। কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশে যথাক্রমে ২১ এবং ২৭ শতাংশ। তবে মহারাষ্ট্র ও হরিয়ানায় এই হার যথাক্রমে ৬২ ও ৭৬ শতাংশ।
নতুন নির্দেশনা জারি
এছাড়া, জাতীয় মহাসড়কের টোল ট্যাক্সও বৃদ্ধি পেয়েছে। দিল্লি-মিরাট এক্সপ্রেসওয়ের জন্য গাড়ি ও জিপের ওয়ান ওয়েতে টোল ট্যাক্স ১৬৫ টাকা থেকে ১৭০ টাকা এবং গাজিয়াবাদ থেকে মিরাট পর্যন্ত ৭০ টাকা থেকে ৭৫ টাকা বাড়ানো হয়েছে। অন্যান্য হাইওয়ের জন্যও টোল ট্যাক্স বৃদ্ধির নতুন নির্দেশনা জারি হয়েছে।

আরও পড়ুন: Petrol Diesel Price: বাড়ল পেট্রোলের দাম, কোন শহরে কত?
সরকারের এই উদ্যোগের উদ্দেশ্য হলো ট্রাফিক আইনের নিয়মিত প্রয়োগ নিশ্চিত করা এবং যানজট কমানো। সবার সচেতনতা বাড়ানোর জন্য নিয়মিত প্রচার করা হবে যাতে চালকরা নিরাপদে ও আইন মেনে গাড়ি চালান। ট্রাফিক আইন মেনে চলা আমাদের সকলের দায়িত্ব, যা শুধু আমাদের নিরাপত্তা নয়, বরং সড়কের অন্যান্য ব্যবহারকারীদের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ।