Last Updated on [modified_date_only] by Shroddha Bhattacharyya
ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: পূর্ব রেলওয়ের হাওড়া ডিভিশনে ব্যান্ডেল-কাটোয়া (Train Cancel) শাখায় শুরু হচ্ছে ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের গুরুত্বপূর্ণ কাজ। সেই কারণে আগামী ১৪ সেপ্টেম্বর (রবিবার) থেকে টানা ১৮ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন নির্দিষ্ট সময়ে বন্ধ থাকবে একাধিক লোকাল ট্রেন। পূর্ব রেল সূত্রে জানানো হয়েছে, দিনে তিন ঘণ্টার জন্য নির্ধারিত ট্রাফিক ব্লকের ফলে আংশিক সময়ের জন্য রেল পরিষেবা নিয়ন্ত্রণে রাখা হবে। এই সময়টিতে ধাত্রীগ্রাম ও অম্বিকা কালনা স্টেশনের মাঝে ডাউন লাইনে চলবে এই ব্লক। যার প্রভাব পড়বে ব্যান্ডেল-আজিমগঞ্জ-কাটোয়া রুটে চলাচলকারী ট্রেনগুলিতে।
কোন কোন ট্রেন বাতিল ও নিয়ন্ত্রিত (Train Cancel)
এই ব্লকের ফলে প্রতিদিন বাতিল থাকবে দুটি গুরুত্বপূর্ণ লোকাল ট্রেন:
- ব্যান্ডেল থেকে কাটোয়া রুটে ৩৭৭৪৯ নম্বরের লোকাল ট্রেন (Train Cancel)
- কাটোয়া থেকে ব্যান্ডেলগামী ৩৭৭৪৮ নম্বরের ট্রেন
আরও পড়ুন: Sushila Karki: নতুন নেতৃত্বে নেপাল, সুশীলা কার্কীকে মোদি-মমতার শুভেচ্ছা
উল্লেখযোগ্যভাবে, এই দুটি ট্রেনে করে প্রতিদিন হাজার হাজার নিত্যযাত্রী (Train Cancel) যাতায়াত করে থাকে, বিশেষ করে অফিসগামী ও ব্যবসায়ীদের ক্ষেত্রে এই ট্রেনের উপর নির্ভরতা প্রবল। এছাড়াও, ৩৭৯২৪ কাটোয়া-হাওড়া লোকাল ট্রেন কাটোয়া ও ধাত্রীগ্রামের মাঝে প্রতিদিন ১৫ মিনিট করে নিয়ন্ত্রিত থাকবে এই পাঁচ দিন।
পূর্ব রেল জানিয়েছে… (Train Cancel)
পূর্ব রেল জানিয়েছে, ব্লক চলাকালীন যদি কোনও স্পেশাল, পার্সেল অথবা দেরিতে চলা ট্রেন থাকে, তাহলে সেগুলিকে রুট পরিবর্তন অথবা নিয়ন্ত্রণ করা হবে প্রয়োজনমতো। যাত্রীদের কাছে অনুরোধ, তারা যেন স্টেশনের পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেম থেকে নির্দিষ্ট ঘোষণা শুনে ট্রেন ধরার পরিকল্পনা করেন।
পুজোর আগে বিপাকে নিত্যযাত্রীরা
এই সিদ্ধান্ত স্বাভাবিকভাবেই প্রভাব ফেলবে নিত্যযাত্রীদের উপর। প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখা ব্যবহার করে হাওড়া এবং কলকাতায় যাতায়াত করেন। অফিস টাইমে ট্রেন বাতিলের এই পরিস্থিতি তাঁদের চরম সমস্যায় ফেলবে। উপরন্তু, সামনে আসছে দুর্গাপুজো, আর তার আগেই পুজোর বাজার ও প্রস্তুতির জন্য শহরমুখী যাত্রীদের চাপ লাফিয়ে বাড়ছে। বাতিল ট্রেনের সংখ্যা কম হলেও, এই সময়ে একটি জোড়া ট্রেন বন্ধ থাকা মানেই ভয়াবহ ভিড় এবং ভোগান্তি।
কী করবেন যাত্রীরা?
রেল কর্তৃপক্ষ আপাতত যাত্রীদের নিয়মিত ঘোষণা শুনতে বলেছে এবং প্রয়োজনে বিকল্প ট্রেন বা বাসের ব্যবস্থা খুঁজে নিতে পরামর্শ দিয়েছে। তবে সাধারণ যাত্রীদের বক্তব্য, “রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি, কিন্তু পুজোর মুখে এমন ব্লকে আমাদের অসুবিধার কথাটাও রেল ভাবতে পারত।”