ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ফের একবার ট্রেন (Train Cancelled) বাতিলের সিদ্ধান্ত নিল পূর্ব রেল। ট্র্যাক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ব্যান্ডেল-কাটোয়া শাখায় কিছু দিনের জন্য বাতিল থাকছে এক জোড়া লোকাল ট্রেন। ১৬ এপ্রিল থেকে ৫ মে পর্যন্ত, (বৃহস্পতিবার ও রবিবার বাদে) মোট ১৪ দিন এই ট্রেন বাতিল থাকবে বলে পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়েছে।
মেন লাইনে ট্র্যাকে সংস্কারের কাজ চলবে (Train Cancelled)
রেল সূত্রের খবর অনুযায়ী, ধাত্রীগ্রাম ও দাঁইহাট স্টেশনের মাঝে ডাউন মেন লাইনে ট্র্যাকে (Train Cancelled) সংস্কারের কাজ চলবে। কাজের জন্য প্রতিদিন দিনের বেলায় তিন ঘণ্টা করে ট্র্যাফিক ব্লক রাখতে হবে। সেই কারণেই এই ট্রেন বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পূর্ব রেল জানিয়েছে, নিত্যযাত্রীদের অসুবিধার জন্য আগাম দুঃখপ্রকাশ করা হচ্ছে এবং যাত্রীদের স্টেশনগুলির পাবলিক অ্যাড্রেস সিস্টেমে নজর রাখার অনুরোধ করা হয়েছে।
যেসব দিনে ট্রেন বাতিল থাকবে (Train Cancelled)
- ১৬ এপ্রিল (বুধবার)
- ১৮ এপ্রিল (শুক্রবার)
- ১৯ এপ্রিল (শনিবার)
- ২১ এপ্রিল (সোমবার)
- ২২ এপ্রিল (মঙ্গলবার)
- ২৩ এপ্রিল (বুধবার)
- ২৫ এপ্রিল (শুক্রবার)
- ২৬ এপ্রিল (শনিবার)
- ২৮ এপ্রিল (সোমবার)
- ২৯ এপ্রিল (মঙ্গলবার)
- ৩০ এপ্রিল (বুধবার)
- ২ মে (শুক্রবার)
- ৩ মে (শনিবার)
- ৫ মে (সোমবার)
বাতিল হওয়া ট্রেনগুলি
- ৩৭৭৪৯ ব্যান্ডেল-কাটোয়া লোকাল (Bandel–Katwa Local)
- ৩৭৭৪৮ কাটোয়া-ব্যান্ডেল লোকাল (Katwa–Bandel Local)
যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষ
এর আগে মার্চ-এপ্রিল মাসেও একই রকম কারণে একই রুটে ১৬ দিন ধরে ট্রেন বাতিল করা হয়েছিল। তখনও ধাত্রীগ্রাম ও ব্যান্ডেল স্টেশনের মাঝে একই ডাউন লাইনে সংস্কারের কাজ চলছিল। সেই সময়েও একই নম্বরের ট্রেন বাতিল করা হয়, তাই এই ট্রেন বাতিলের পুনরাবৃত্তি যাত্রীদের মধ্যে অসন্তোষের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
চরম ভোগান্তি
নিত্যযাত্রীরা এমনিতেই এই রুটে ট্রেনের ওপর নির্ভর করে যাতায়াত করেন। তাই একাধিক দিন ট্রেন বাতিল থাকায় তাঁদের অনেকেই পড়ছেন চরম ভোগান্তিতে। বিশেষ করে অফিসযাত্রী ও ছাত্রছাত্রীদের দুর্ভোগ অনেকটাই বাড়ছে। অনেকে বিকল্প পরিবহণের খোঁজ করছেন, তবে সব সময় সেটি সম্ভব না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করছেন তাঁরা।
রেলের তরফে অবশ্য স্পষ্ট জানানো হয়েছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা ও সুষ্ঠু পরিষেবার জন্যই এই রক্ষণাবেক্ষণ প্রয়োজন। তবে প্রশ্ন উঠছে, এত ঘন ঘন ট্র্যাফিক ব্লক কি আদৌ প্রয়োজন, নাকি পরিকল্পনার অভাবেই বারবার যাত্রীদের এই দুর্ভোগ? যা-ই হোক, পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষের আশা, এই রক্ষণাবেক্ষণ শেষ হলে ভবিষ্যতে ট্রেন চলাচল আরও মসৃণ হবে। ততদিন যাত্রীদের ধৈর্য ধরে সহযোগিতা করার আবেদন জানানো হয়েছে।