ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: ট্রেনে করে ট্রাভেল (Train Fare) করা খুবই সাধারণ ব্যাপার। এমনই একটি রুট রয়েছে মহারাষ্ট্রের আজনি স্টেশন এবং নাগপুরের মধ্যে। এই রুটের বিষয়ে জানলে অনেকেই প্রথমে বিশ্বাসই করতে পারবেন না।
তিন কিলোমিটারের জন্য ১২৫৫ টাকা ভাড়া (Train Fare)
এখানে মাত্র তিন কিলোমিটার (Train Fare) যাত্রার জন্য ১২৫৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করা হয়েছে, যা অনেকের কাছে অত্যন্ত অবিশ্বাস্য মনে হবে। তবে এটাই বাস্তব, এবং এ রুটের ট্রেন যাত্রীরা প্রতিদিন এর জন্য অপেক্ষা করেন।
অস্বাভাবিক ট্রেনের ভাড়া (Train Fare)
যদিও রেল ভাড়া সাধারণত দূরত্বের (Train Fare) ওপর নির্ভর করে, এই রুটের ক্ষেত্রে তা একটু ভিন্ন। আজনি ও নাগপুরের মধ্যে দূরত্ব মাত্র তিন কিলোমিটার, তবে এই ট্রেনের ভাড়া একেবারে অস্বাভাবিক। এই রুটে ট্রেনটি প্রতিদিন যাত্রীদের নিয়ে চলাচল করে এবং এর যাত্রা সময় মাত্র নয় মিনিট। কিন্তু অবাক করা বিষয় হল, এই সংক্ষিপ্ত যাত্রার জন্য এত বেশি ভাড়া থাকা সত্ত্বেও, টিকিট পেতে দীর্ঘ অপেক্ষা করতে হয়। এর মানে হল যে ট্রেনের টিকিটের জন্য যাত্রীদের একটি বিশাল ওয়েটিং লিস্টে অন্তর্ভুক্ত হতে হয়, যা তাদের ভ্রমণের জন্য আরও একটি চ্যালেঞ্জ।
আরও পড়ুন: Nawabs Workers Wage: নবাবের আমল থেকে বাড়েনি বেতন, আজও মাত্র ৫টাকা পান কর্মীরা
টিকিট পাওয়া সহজ নয়
এই রুটে বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে, তবে প্রচুর যাত্রী থাকায় এবং ট্রেনগুলির সীমিত সিটের কারণে তাদের জন্য টিকিট পাওয়া সহজ হয় না। এই রুটটি শুধুমাত্র এক দৈনন্দিন যাত্রী পরিবহণের মাধ্যম হিসেবেই নয়, বরং অফিস যাত্রীদেরও গুরুত্বপূর্ণ রুট হিসেবে কাজ করে। অনেকেই তাদের কাজের জন্য এই রুটটি ব্যবহার করেন, ফলে এটি যাত্রীদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।

ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া
এছাড়াও, এই রুটে একটি বিশেষ ট্রেন রয়েছে, বিদর্ভ এক্সপ্রেস, যা প্রথম শ্রেণির যাত্রীদের জন্য ১২৫৫ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করে। যদিও এই ভাড়া উচ্চ, তবুও অনেক যাত্রী তাদের সুবিধা অনুযায়ী টিকিট বুক করে থাকেন। কিছু যাত্রী সাধারণ শ্রেণির টিকিটেও যাতায়াত করেন। এইসব ভিন্ন ভিন্ন ক্যাটাগরি এবং ভাড়ার ব্যবস্থা যাত্রীদের বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করে, তবে রুটটি ব্যবহারে যাত্রীদের জন্য টিকিট পাওয়া একটি বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়ায়।