ট্রাইব টিভি বাংলা ডিজিটাল: অনেককেই বাইরে ট্রাভেল করার জন্য বিমানকেই (Travel power banks) বেছে নিতে হয়। কারণ বিমানে ট্রাভেল করা যেমন সময় বাঁচায় তেমনই কম্ফোর্টেবল। কিন্তু বেশির ভাগ বিমানবন্দরের ইন-লাইন ব্যাগেজ ব্যবস্থায় পাওয়ার ব্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়া যায় না।
ব্যাগ বাতিল! (Travel power banks)
ডোমেস্টিক বা এক্সটার্নাল উড়ানের ক্ষেত্রে এই (Travel power banks) ব্যবস্থা চালু হওয়ায়, যাত্রীরা চেক-ইন কাউন্টারে গিয়ে নিজেদের বড় ব্যাগ জমা দেন। কিন্তু, মোবাইলের পাওয়ার ব্যাঙ্ক থাকলেই সেটি স্বয়ংক্রিয় নজরদারিতে ধরা পড়ে এবং বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু কি পাওয়ার ব্যাঙ্ক বিমানযাত্রায় নেওয়া যাবে না? নিশ্চয়ই যাবে। আসুন, দেখি কী নিয়ম আছে।
কেন রাখা যাবে না পাওয়ার ব্যাঙ্ক? (Travel power banks)
ভারতের বিমান পরিবহণ নিয়ন্ত্রক (Travel power banks) সংস্থা ডিজিসিএ-এর নির্দেশিকা অনুযায়ী, বিমানের চেক-ইন ব্যাগেজে পাওয়ার ব্যাঙ্ক, মোবাইল চার্জার, লাইটার এবং লাইটারের জ্বালানি রাখা নিষিদ্ধ। এর প্রধান কারণ হল, পাওয়ার ব্যাঙ্কে থাকা লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি সহজে গরম হয়ে যায় এবং বিপজ্জনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে। তাই, বিমানের ভিতরে চেক-ইন ব্যাগেজে এগুলো রাখা যাবে না।
আরও পড়ুন: 2024 YR4: ২০৩২ সালেই ধ্বংস পৃথিবী, ধেয়ে আসছে YR4 গ্রহাণু, আশঙ্কায় বিজ্ঞানীরা!
তাহলে কীভাবে পাওয়ার ব্যাঙ্ক বা চার্জার সঙ্গে নেওয়া যাবে?
- ক্ষমতা সীমা: পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্ষমতা ১০০ ডব্লিউএইচ (ওয়াট প্রতি ঘণ্টা) হওয়া উচিত। এমন দুটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক নেওয়া যেতে পারে।
- অনুমতি: যদি পাওয়ার ব্যাঙ্কের ক্ষমতা ১০০-১৬০ ডব্লিউএইচ হয়, তাহলে পরিবহণ সংস্থার অনুমতি নিতে হবে।
- নিষেধাজ্ঞা: ১৬০ ডব্লিউএইচ-এর বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন পাওয়ার ব্যাঙ্ক বিমানযাত্রায় নেওয়া যাবে না।

- ব্যবহারের নিয়ম: পাওয়ার ব্যাঙ্ক ব্যবহারে কিছু নিয়ম আছে। বারবার ফোন চার্জ করার বদলে, দীর্ঘ উড়ানে একবারই পুরো চার্জ করা উচিত। যদি ফোন গরম হয়ে যায়, তাহলে তৎক্ষণাৎ বন্ধ করে দিতে হবে।
- পাওয়ার ব্যাঙ্কের অবস্থা: বিমানে ওঠার আগে নিশ্চিত করুন পাওয়ার ব্যাঙ্ক ঠিকমতো কাজ করছে কিনা। খারাপ অবস্থায় থাকলে সেটি নেওয়া উচিত নয়।
- কেবিন ক্রু-র নির্দেশনা: বিমানে বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে কেবিন ক্রু-দের নির্দেশনা মেনে চলা উচিত।